৪৫ দিনের প্রধানমন্ত্রী হয়েও প্রতি বছর লিজ পাবেন প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা

|

ছবি: সংগৃহীত।

ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় পদত্যাগ করে ব্রিটেনের সবচেয়ে স্বল্প মেয়াদি প্রধানমন্ত্রীর তকমা পেয়েছেন লিজ ট্রাস। তবে দেশটির আইন অনুযায়ী প্রতি বছর তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার পাউন্ড (১ লাখ ২৯ হাজার ডলার) ভাতা পাবেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ২৯ লাখ ৩৯ হাজার টাকারও বেশি।

ইন্ডিপেনডেন্টের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে এনডিটিভি। সেখানে বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালের ব্রিটেনের পাবলিক ডিউটি কস্টস অ্যালাউয়েন্স (পিডিসিএ) আইন অনুযায়ী, ব্রিটেনের সমস্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রীরা এ অর্থ তাদের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পাবেন। মূলত, তাদের এ অর্থ দেয়া হয় যাতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব শেষ হওয়ার পরও তারা স্বচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতে পারেন। জনগণের প্রতি নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের জন্য এ অর্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের সম্মানী হিসেবে দেয়া হয়। সে হিসেবে লিজ মাত্র ৪৫ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী হলেও এ সুবিধাটি তিনি ভোগ করবেন আজীবন।

তবে এরই মধ্যে লিজ ট্রাসের এ ভাতা পাওয়া উচিত কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। লিজ ট্রাসকে এ ভাতা যাতে না দেয়া হয় সেই দাবি জানিয়েছেন অনেকে। অনেকে বলছেন, এ ভাতা লিজের স্বেচ্ছায় ত্যাগ করা উচিত।

এ নিয়ে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির নেতা কেয়ার স্টারমার এক গণমাধ্যমকে বলেন, আমার মনে হয় না লিজকে এ ভাতা দেয়াটা ঠিক হবে। তিনি মাত্র ৪৪ দিন এ পদে থেকেছেন, তিনি সত্যিই এর যোগ্য নন। লিজ ট্রাসের উচিত স্বেচ্ছায় এ ভাতা প্রত্যাখ্যান করা।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) নিজের পদত্যাগ ঘোষণা করেন লিজ ট্রাস। এরই মধ্যে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদে প্রথম প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন পেরি মরডন্ট। নাম আসছে ঋষি সুনাক ও বরিস জনসনেরও।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি জরিপ বলছে, এখন পর্যন্ত কনজারভেটিভ এমপিদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ ঋষি সুনাকের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন, বরিস জনসনকে সমর্থন করেছেন ৩০ শতাংশ এবং পেনি মরডন্টের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন ১৬ শতাংশ।

অবশ্য নতুন করে প্রধানমন্ত্রীর লড়াইয়ে এখনো নিজেদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেননি ঋষি ও বরিস। তবে অনেকে মনে করছেন, নাটকীয়ভাবে প্রধানমন্ত্রীর আসনে আবারও ফিরতে পারেন বরিস জনসন। ঋষি সুনাকের ক্ষেত্রেও আছে জোর সম্ভাবনা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply