ভারত-পাকিস্তান মহারণ রোববার, আলোচনায় ড্রপ-ইন উইকেট

|

ছবি: সংগৃহীত

একদিকে ভারত-পাকিস্তান লড়াই; আরেকদিকে আলোচনায় ড্রপ-ইন উইকেট। রাত পেরোলেই মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। তবে, মাঠের বাইরের আলোচনায় এসেছে পিচের আচরণ। কারণ, এমসিজির এই উইকেট দু’দলের কাছেই থাকছে অজানা। ম্যাচের আগে উইকেট দেখার সুযোগ নেই কারোরই।

ড্রপ-ইন উইকেট বসানোর উদ্দেশ্যই থাকে মাঠে ক্রিকেট ছাড়াও অন্যান্য ইভেন্ট আয়োজনের। মেলবোর্ন, অ্যাডিলেড ও পার্থে ফুটবলসহ কয়েক ধরনের ইভেন্ট আয়োজন করায় সেখানে ব্যবহার করা হয় ড্রপ-ইন পিচ। এই পিচের সুবিধা হলো, নিজেদের পছন্দমতো যেমন উইকেট তৈরি করা যায়, তেমনি সহজেই করা যায় পরিবর্তন।

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড। ছবি: সংগৃহীত

এমসিজির ড্রপ-ইন উইকেটের একপ্রান্তের দৈর্ঘ্য ২৪ মিটার, প্রস্থ হয় ৩ মিটার আর এর গভীরতা থাকে ২০ সেন্টিমিটার। নিচের লেয়ারে কালো মাটি আর তার উপরে সবুজ ঘাসের চাদর। বাইরে থেকে পছন্দসই উইকেট বানিয়ে ম্যাচের আগে সেটি বসানো হয় সিমেন্টের স্ল্যাবে।

অনেকের মতে, এমসিজির ড্রপ-ইন উইকেট অনেকটাই ফ্ল্যাট। তুলনামূলকভাবে এই উইকেটে ব্যাটাররাই সুবিধা পেয়ে থাকেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যবহৃত উইকেট তৈরি করতে ২ মাস লাগলেও ড্রপ-ইন উইকেট তৈরিতে লাগে মাত্র ৭ দিন।

ছবি: সংগৃহীত

দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলোতে একদিন আগেই উইকেট দেখা গেলেও, আইসিসির ইভেন্টে সেই সুযোগ নেই। ম্যাচের আগে উইকেট দেখারই সুযোগ থাকে না কোনো টিমের। আর এই কারণে, দুই দলের কাছেই উইকেটের আচরণ থাকে অজানা।

তবে, অস্ট্রেলিয়ার উইকেট মানেই একটু বাউন্সি আর স্পোর্টিং হবে, সেটা অনুমেয়। অবশ্য ম্যাচের দিন বৃষ্টি বাগড়া দিলে উইকেটের আচরণ হবে ভিন্ন। তখন হয়তো দেখা যাবে পেসারদের দাপট। ড্রপ-ইন উইকেটে কে সফল হবে, ভারত নাকি পাকিস্তান?-সেটাই এখন দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেট বিশ্ব!

আরও পড়ুন: কারেনের ম্যাচে সহজ জয়ে বিশ্বকাপ শুরু ইংল্যান্ডের

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply