ঋষি সুনাক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় উচ্ছ্বসিত দেশটিতে বসবাসরত ভারতীয়রা। তার শেকড় ভারতেও উচ্ছ্বাস ছড়িয়েছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এ রাজনীতিকের উত্থান গৌরবের, বলছেন সাধারণ মানুষ। আলোচনার তুঙ্গে তার ধর্মীয় পরিচয়ও। লন্ডন-দিল্লির রাজনৈতিক সম্পর্ক কোনদিকে গড়ায় তা নিয়েও চলছে বিশ্লেষণ। খবর এপির।
যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ভারতীয়দের প্রত্যাশা, ভারতীয়র হাত ধরেই ব্রিটেনের অর্থনীতিতে আসবে সুদিন। ব্রিটেনে বসবাসরত এক ভারতীয় বলছিলেন, ভীষণ গর্ব হচ্ছে। কেবলমাত্র তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরিচয়ের জন্য নয়, তিনি একজন ভালো মানুষও বটে। দেশের অর্থনীতিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবেন বলেই প্রত্যাশা করি।
আরেকজন বলছিলেন, ভারতীয় হিসেবে নিঃসন্দেহে গৌরবের বিষয় এটি। সুনাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়াটা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির জন্যই ভালো হবে।
ঋষি সুনাককে নিয়ে উচ্ছ্বাস ছড়িয়েছে তার দাদার দেশ ভারতেও। ব্রিটিশ রাজনীতির খবর না রাখলেও, প্রধানমন্ত্রীর আসনে ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত সাধারণ মানুষ। উল্লাস চাপা থাকেনি গণমাধ্যমেও।
সব ছাপিয়ে অনেক গণমাধ্যমের শিরোনাম, সুনাকের হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ার বিষয়টি। যেমন ইন্ডিয়া টুডে বলেছে, ‘প্রাউডলি হিন্দু, পলিটিক্যালি কনজারভেটিভ ঋণি সুনাক উইনস ইউকে পিএম রেইস।’
ভারতীয় বংশোদ্ভূত হওয়া ছাড়াও নয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর রয়েছে আরও এক পরিচয়। ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনী শিল্পপতি নারায়ন মুর্তির জামাই তিনি। ফলে দিল্লির সাথে সরাসরি সংযোগ রয়েছে এ রাজনীতিকের। যা ইতিবাচকভাবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
তবে অনেকেরই মাঝেই রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বলছেন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত হলেও আন্তর্জাতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আসবে না তেমন কোনো পরিবর্তন। কেননা, ঋষি সুনাক তো দূরের কথা, তার বাবা-মায়েরও জন্ম হয়নি ভারতে। তাকে পুরোদস্তুর ব্রিটিশ বলেই উল্লেখ করছেন অনেকে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদে অশেতাঙ্গ সুনাকের অভিষেককে ঐতিহাসিক ঘটনা বলে আখ্যা দেয়া হচ্ছে। অনেকে একে তুলনা করছেন বারাক ওবামার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার ঘটনার সাথেও।
আলোচনা ছাপিয়ে ভবিষ্যতই বলে দেবে, কঠোর অভিবাসন নীতির পক্ষে কথা বলা সুনাক পূর্বপুরুষের জন্মভূমির সাথে কেমন সম্পর্ক গড়ে তোলবে তা। আর সবার নজর সেদিকেই।
/এমএন
Leave a reply