জেলহত্যা দিবস: গাজীপুরে তাজউদ্দিন স্মরণ, ক্যাপ্টেন মনসুরকে ভোলেনি সিরাজগঞ্জ

|

শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও তাজউদ্দিন আহমদ।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় কলংকজনক অধ্যায়টি রচিত হয় একই বছরের ৩রা নভেম্বর। কারাগারে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। আজকের এই দিনে তাজউদ্দিন আহমদ ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে স্মরণ করছে তার জেলার মানুষ। দিনটি জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি তাদের। একইসাথে পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের দাবি স্বজনদের।

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ১৯২৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ। জাতীয় পর্যায়ে তার যতো অবদান তার সবই রচিত হয়েছিল তার শৈশবে; গাজীপুরের আলো বাতাসে।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরে কারাগারে তাকে হত্যা করা হয়। যা তাজউদ্দিনের পরিবার জানতে পারে একদিন পর।

শহীদ জাতীয় নেতা তাজউদ্দিন আহমেদের মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি বলেন, তিন তারিখ সারাদিনে আমরা কিছুই জানতে পারিনি। তখন আমরা থাকতাম সাত মসজিদ রোডে। চার তারিখ সকালবেলা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মানুষকে বলাবলি করতে শুনলাম। তারা বলছিলেন, তাজউদ্দিন সাহেবদেরকে মেরে ফেলেছে। আমরা লাশ দাবি করবো, শহীদ মিনারে যাবো ইত্যাদি ইত্যাদি। মানুষের এসব কথা শুনতে শুনতেই আমি হেঁটে বাসার সামনে চলে আসি।

হত্যার পর থেকে বঙ্গতাজের স্মৃতি হাতড়ে বেড়ায় দরদরিয়া গ্রামের মানুষ।

১৯১৭ সালে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে জন্ম ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলীর। পচাত্তরে ঘাতকের বুলেট কেড়ে নেয় এই মহান নেতার জীবন। ৩রা নভেম্বর এলেই জাতীয় নেতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলীকে স্মরণ করে যমুনা পাড়ের মানুষ।

ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর নাতি তানভির শাকিল জয় বলেন, কাজীপুরের মানুষ কীভাবে ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে স্মরণ বা মূল্যায়ন করে তার প্রমাণ আমি নিজেই। গত ৫০ বছর ধরে ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর উত্তরসুরীরাই কাজীপুরের মানুষের সেবা করে যাচ্ছে। একটা জনপদের মানুষ তাদের নেতাকে কতোটা ভালবাসলে বা হৃদয়ের গভীরে স্থান দিলে অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে তাদের নেতার পাশে থাকতে পারে তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ কাজীপুরের মানুষরা।

জাতীয় চারনেতা হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের দাবি পরিবারের।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply