লড়াই করে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলো ব্রাজিল। প্রথমার্ধে ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল ব্রাজিল। স্বভাবতই গোল পেতে বিরতির পর বেলজিয়ামের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেলেকাওরা। অবশেষে তাদের আক্রমণ আলোর মুখ দেখল। ৭৬ মিনিটে দুর্দান্ত হেডে লক্ষ্যভেদ করে ব্যবধান কমালো অগাস্টো রেনোতো। আক্রমণে পাল্টা আক্রমণে খেলা চলছিলো তুমুলভাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়ের মুখ দেখলো বেলজিয়াম।
শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারতো সেলেসাওরা। কিন্তু থিয়াগো সিলভার চেষ্টা আটকে যায় পোস্টে বাধা পেলে। তবে উল্টো ১৩ মিনিটে এগিয়ে যায় বেলজিয়াম। আত্মঘাতী গোল করে বসেন বেলজিয়ামের ফার্নান্দিনিয়ো। ৩১ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে দর্শনীয় গোলে লিড দ্বিগুণ করেন কেভিন ডি ব্রুইন।
কাজান এরেনা পরিপূর্ণ। ম্যাচের শুরুতে নেইমার-হেসুসের এই ছন্দ তোলা ওয়ান-টু, তখনো বোঝা যায়নি বেলো-হরিজেন্তের কান্না ফিরে আসছে কাজান এরেনায়।
৮ মিনিটে নেইমারের করনারে থিয়াগো সিলভার সামনে যখন বাধা হয়ে দাঁড়ালো সাইড পোস্ট, এমনকি তখনো না।
রোমেলু লুকাকুই বিপদের সংকেত দিচ্ছিলেন, তার গতি আর মুভমেন্টে। তখনো পাখা মেলতে শুরু করেনি কেভিন ডি-ব্রুইনের সৃষ্টিশীলতা। তার আগেই, নাসের চাঁদলির করণার উড়ে এলো, আর ফারনান্দিনিয়ো বল জড়িয়ে দেন নিজেদের জালেই।
আত্মঘাতী গোল খাওয়ার পর জেগে উঠলো ব্রাজিল; তবে বেলজিয়ামের তা বুঝে উঠতে সময় লাগেনি। কাউন্টার এটাকে মাঝমাঠের খালি জায়গাটা কাজে লাগান লুকাকু-ডি ব্রুইন আর হ্যাজার্ড ।
৩২ মিনিটে লুকাকু একাই ছিন্নভিন্ন করে ফেলেন সিলবগা-মারসেলো-মিরান্ডাদের। তার থ্রু ধরে ম্যান সিটি তারকা ডি-ব্রুইনের ভলি আটকানোর কোন সুযোগ ছিল না বেকারের।
দুই গোলে এগিয়ে থেকে ডিফেন্ডিংয়ে মনোযোগ দেন রবারতো মারটিনেজ। গোলবারে কোরতোয়া আর তার সামনে কোম্পানি- এল্ডারউইরেল্ড- ভারটনগেন যেন চীনের প্রাচীর ।
এমন ম্যাচে তিতে দেরি করেননি ফিরমিনো আর কস্তাকে মাঠে নামাতে। উইলিয়ান আর হেসুসের এই দু’ বদলী মাঠে নামার পর আক্রমণ বেড়ে যায়।
তার মাঝেই ৬৮ মিনিটে ডি-ব্রুইন আবারো হানা দেন সেলেসাওদের সীমানায়। অল্পের জন্য গোল মিস করেন হ্যাজার্ড ।
শেষমেশ ম্যাচ জমে ওঠে ৭৬ মিনিটে । কুতিনিয়োর ক্রসে অগাস্টো পরাভুত করেন কোরতোয়াকে। ৪৩ হাজার দর্শকের বড় অংশ মেতে ওঠে গোল উতসবে।
নেওমার-পাওলিনিয়োর সুযোগ মিস, আর ফিরতে দেয়নি ব্রাজিলকে। ইউরোপীয় প্রতিপক্ষ যেন এখন এক-একটি অজেয় নাম, তা সে বেলো হরিজন্তেই হোক অথবা কাজান।
Leave a reply