মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তিই ট্রাম্পের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ

|

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি এখনও দু’বছর। এরইমধ্যে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার দৌঁড়ে সামিল হওয়ার ঘোষণা দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এবারের লড়াই ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য মোটেও সহজ হচ্ছে না। দলের মনোনয়ন পাওয়াই হবে তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ- এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অনেকের ধারণা- মামলা থেকে রেহাই পেতে আগেভাগে নির্বাচন লড়ার ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) ফ্লোরিডার আড়ম্বরপূর্ণ সমাবেশে নিজ ইচ্ছার কথা জানালেন এ রিপাবলিকান নেতা।
তার এ ঘোষণায় মার্কিন রাজনীতিতে শুরু হয়ে গেছে আলোচনা। মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে ভোটারদের মাঝেও।

অথচ, মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের ঝুড়িতে আশানুরুপ ফল না মেলার পেছনে তাকেই দোষারোপ করছে দলটির বড় একটি অংশ। ট্রাম্পের মহামারিকালীন ভূমিকা, জাতীয় নির্বাচনে জালিয়াতি নিয়ে ক্রমাগত অভিযোগ, ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় উস্কানি, হোয়াইট হাউস থেকে সরকারি নথি সরিয়ে ফেলাসহ নানা ইস্যুতে দলের ভেতরই অনেক বিতর্ক ট্রাম্পকে ঘিরে। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের মতো কেউ কেউ প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন অসন্তোষ। তাই প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার ক্ষেত্রে রিপাবলিকানদের সমর্থন আদায়ই হবে তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক ক্রিস্টিন বার্জিনার এ প্রসঙ্গে বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু বিতর্কিত পদক্ষেপের প্রভাব প্রাইমারিতে পড়বে। দলীয় সদস্যদের মনোনয়নও কিছুটা ব্যাকফুটে রাখবে তাকে।

রিপাবলিকান প্রার্থীতার দৌঁড়ে ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত নাম রন ডিস্যান্টিস। মধ্যবর্তী নির্বাচনে তাক লাগানো ফল আর ইতিবাচক ইমেজ ট্রাম্পের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রাখছে তাকে। এই দৌড়ে আরও আছেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর মতো রাজনীতিবিদরাও।

তবে এতো আগেভাগেই ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণায় অন্য উদ্দেশ্যও দেখছেন কেউ কেউ। তার বিরুদ্ধে চলমান একাধিক মামলা ঠেকানোই লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক আদ্রিয়ান স্মিথ বলেন, হতে পারে, নিজেকে একাধিক মামলা থেকে বাঁচার জন্য জুয়া খেলছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মামলা-তদন্তে তাকে যেনো সাধারণ রাজনীতিবিদ হিসেবে নয়, প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হয় সেটাই চাইছেন তিনি।

তবে ট্রাম্পের আমলে সুবিধাপ্রাপ্ত বড় একটি অংশ এখনও আছে রিপাবলিকান পার্টির নীতিনির্ধারক ও লবিস্টদের মধ্যে। এছাড়া তার বিশাল সমর্থকগোষ্ঠীকেও অগ্রাহ্য করার উপায় নেই। যাদের রায়ে বদলে যেতে পারে সব সমীকরণ।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply