কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা, পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি কিম জং উনের

|

ক্রমেই কোরীয় উপদ্বীপে বাড়ছে উত্তেজনা। যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র দেশগুলো এবং উত্তর কোরিয়ার পাল্টাপাল্টি সামরিক শক্তি প্রদর্শন তৈরি করেছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের হুঁশিয়ারি, শত্রুদের হুমকি মোকাবেলায় প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে তার দেশ। এদিকে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জবাবে কোরীয় উপদ্বীপে দুটি বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর রয়টার্সের।

কোরিয়ার নতুন আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের নাম হোয়াসং-১৭। বিশালাকৃতির জন্য এটি পরিচিতি পেয়েছে ‘মনস্টার মিসাইল’ নামে, যা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনায় নতুন করে ঘি ঢাললো উত্তর কোরিয়া।

আন্তর্জাতিক মহলের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই চলতি বছর একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। তাদের দাবি, হোয়াসং- ১৭ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কৌশলগত অস্ত্র। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, আগের চেয়ে বেড়েছে উত্তর কোরিয়ার সামরিক শক্তি।

উত্তর কোরিয়া বিশেষজ্ঞ ইয়াং মো-জিন বলেন, এবারের পরীক্ষায় দেখা গেছে প্রযুক্তিগতভাবে হোয়াসং-১৭ মিসাইলকে আরও উন্নত করা হয়েছে। এছাড়া সামরিক এই মহড়ার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া বুঝিয়ে দিয়েছে শুধু কথায় নয়, সত্যিকার অর্থেই পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত তারা। দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধির প্রতিবাদেই তাদের এই পদক্ষেপ।

তিনি আরও বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র কোরীয় উপদ্বীপে তাদের সামরিক সক্ষমতা আরও বাড়ায়, তাহলে উত্তর কোরিয়ার মিসাইল হামলার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। জনগণের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার কারণ দেখিয়েই কিম হামলা চালাতে পারে।

ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা পরই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোকে হুমকিও দিয়েছে রাষ্ট্রটি। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, শত্রুদের মোকাবেলায় প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতেও প্রস্তুত তার দেশ।

এ বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এভাবে হুমকি অব্যাহত রাখলে পিয়ংইয়ং পরমাণু অস্ত্র দিয়েই দৃঢ়ভাবে তার জবাব দেবে। আমাদের দল ও সরকার শত্রুদের সর্বাত্মক হামলা মোকাবেলায় প্রস্তুত।

এদিকে কোরীয় উপদ্বীপে দুটি B-1B বোমারু বিমান পুনরায় মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্লেষকরা বলছেন, পাল্টাপাল্টি এ কর্মকাণ্ডে কোরীয় উপদ্বীপে তুঙ্গে উত্তেজনার পারদ। এর আগে গেলো দু’মাসে ৫০টির বেশি মিসাইল ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। যদিও এসবের বেশিরভাগই স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply