শপথ নিলেন ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু

|

শপথ নিলেন ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আবারও ইহুদি রাষ্ট্রটির ক্ষমতায় তিনি। এবার তার সঙ্গী রিলিজিয়াস জিয়নিজম ও জিউস পাওয়ার পার্টির মতো কট্টর ডানপন্থী দুই দল। অনেক ইসরায়েলি এই কট্টরপন্থী সরকার বিরোধী। পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভও করেছেন তারা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সামনের দিনগুলোতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে নতুন সরকারকে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

ইসরায়েলের সবচেয়ে কট্টরপন্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে নেতানিয়াহুর এই সরকারকে। জোটের অন্যতম শরীক রিলিজিয়াস জিয়নিজম ও জিউস পাওয়ার পার্টি আরব বিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত। ক্ষমতা গ্রহণের আগেই বিশ্ব নেতাদের সমালোচনার মুখে কট্টরপন্থী এই জোট। নিজ দেশেও বিক্ষোভের মুখে তারা। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, নতুন সরকার দেশটির গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।

আন্দোলনকারীদের একজন জানান, এমন এক সরকারের বিরুদ্ধে আমি আন্দোলনে এসেছি, যারা বৈধ হলেও গ্রহণযোগ্য নয়। তারা ইসরায়েলের গণতন্ত্র নষ্ট করতে চায়। তারা চায়, ইসরায়েল টিকে থাকুক, তবে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে নয়। এই জোটের অনেক মন্ত্রী-উপমন্ত্রী বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তারা আরব বিরোধী, সংস্কার বিরোধী।

আরেক আন্দোলনকারী বলেন, নতুন সরকার ভয়ঙ্কর। এটি অপরাধীদের নিয়ে গঠিত। তারা ইসরায়েলি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়, তাই আমরা এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে এসেছি।

গেল চার বছরে পাঁচবার নির্বাচন হয়েছে ইসরায়েলে। চরম রাজনৈতিক এই অস্থিরতার মধ্যেই ক্ষমতা ফিরে পেয়েছেন নেতানিয়াহু। বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন সে ক্ষমতা ধরে রাখাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।

ইসরায়েলের রাজনৈতিক বিশ্লেষক আশাফ শাপিরা বলেন, আগের মেয়াদগুলোর তুলনায় এবার তার অবস্থান অনেক দুর্বল। প্রথমত, তিনি ফৌজদারি মামলার আসামি ছিলেন। দ্বিতীয়ত, জোটের অংশীদারদের চেয়ে দুর্বল অবস্থানে রয়েছে তার দল লিকুদ পার্টি। এছাড়া, তার আগের সরকারগুলোতে কিছু মধ্যপন্থী, এমনকি বামপন্থী দলও ছিল। যদিও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই তারা ক্ষমতায় এসেছে। তবে, ইসরায়েলের গণতন্ত্রের জন্য এই জোট ক্ষতিকর হতে পারে।

এদিকে, নতুন সরকার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে অধিকৃত পশ্চিম তীরে। এরইমধ্যে, পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। ফলে, ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন আরও তীব্র হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply