হাসান আল মারুফ:
১০ বছর বয়সে হাতেখড়ি ক্রিকেট বলে। আন্ডার নাইন্টিন দলের সাথে থাকলেও খেলা হয়নি তার। এনসিএলের দাপুটে নাহিদ রানা বিপিএল অভিষেকেও দেখিয়েছেন গতির ঝড়। স্বপ্নের মতো বিপিএল অভিষেকের পর যমুনা টিভিকে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এই তরুণ তুর্কি। জানালেন, পেশি শক্তিটা ঈশ্বর প্রদত্ত। তবে, নিখুঁত লাইন-লেন্থ ধরে রাখতে তাকে করতে হয়েছে সাধনা।
নাহিদ রানা বলেন, আমার এই পেস ছোটবেলা থেকেই ন্যাচারাল। যখন যে কোচের সাথে থাকি, তাদের সাথে লাইন-লেন্থ নিয়ে কাজ করা হয়। ক্রিকেট খেলি ছোটবেলা থেকেই। তবে, ক্রিকেট বল হাতে নিয়েছি এইচএসসি পাস করার পর।
খুলনার সতীর্থ ওয়াহাব রিয়াজের কাছ থেকেও তালিম নিচ্ছেন নাহিদ রানা। জানালেন, সবসময়ই সমর্থন পাচ্ছেন এই অভিজ্ঞ পেসারের। ওয়াহাব রিয়াজ বলেছিলেন, বাংলাদেশের এই তরুণ পেসার অবশ্যই দেশের সম্পদে পরিণত হবে। এ কথা শুনে নাহিদ রানা বলেন, শুনে খুব ভালো লাগছে। তিনি বলেছেন মানে, এই বোলিংটা আমাকে ধরে রাখতে হবে। বোলিং, ফিটনেস, এক জায়গায় বল করে যাওয়াই এই বিষয়গুলো ধরে রাখতে হবে।
তরুণ এই পেসার জানালেন, দলের সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল যেমন সমর্থন দিচ্ছেন, তেমনি কোচদের কাছ থেকেও পাচ্ছেন শতভাগ। নাহিদ রানা বলেন, প্রথম ওভারে যখন নো-বল করলাম, উনি বললেন, তোমাকে কোনো চাপ নিতে হবে না। তুমি তোমার বোলিংটা করে যাও। তারপর বাউন্ডারি খেলে উনি পরামর্শ দিয়েছেন যে, কোথায় বল করতে হবে। মাঠে এসব নির্দেশনা পেয়েছি উনার কাছ থেকে। তাছাড়া, তালহা স্যার, সুজন স্যারদের থেকেও সমর্থন পেয়েছি।
ক্লাব ক্রিকেট থেকে সোজা এনসিএলে। সেখানেই প্রতিভার সবটা নিংড়ে দিয়ে প্রথমবার বিপিএলের মঞ্চে অভিষেকেই বল হাতে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন, অগ্নিঝড়া স্পেলে নজর কেড়েছেন ক্রিকেট সমর্থকদের। আর সবার মতোই নাহিদের মনেও আছে স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্নটা সফলভাবে ধরা দিক তার হাতে, সেটাই প্রত্যাশা।
আরও পড়ুন: বিপিএলের মাঝে মন্ত্রী হয়ে গেলেন ওয়াহাব রিয়াজ
/এম ই
Leave a reply