তাহমিদ অমিত:
নয়নাভিরাম সিলেট স্টেডিয়ামের কালো দাগ হিসেবে যেন ছিল সাইট স্ক্রিন। এই যুগেও বাঁশ ব্যবহার করে লাগানো সেই স্ক্রিনের অবস্থানটিও এমন এক জায়গায়, যার উচ্চতার জন্য ঠিকমতো খেলা দেখা ব্যাহত হয়েছে দর্শকদের। যমুনা টেলিভিশনে এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশের পর অবশেষে সাইট স্ক্রিন নিয়ে বিস্তর কাজ হয়েছে। এরপর এই সাইট স্ক্রিন থেকে সরেছে বাঁশ।
কথায় আছে, চাঁদেরও থাকে কলঙ্ক। চা বাগানের সবুজে ঘেরা সিলেট স্টেডিয়ামের কলঙ্ক হয়েই যেন ছিল এই বাঁশ দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা সাইট স্ক্রিন। এর অবস্থান ও উচ্চতার কারণে প্রেস বক্স থেকেও কাজ করতে অসুবিধা হয়। ক্রীড়া সাংবাদিক দেব চৌধুরী বলেন, নাজমুল হোসেন শান্তর যে ক্যাচটি শোয়েব মালিক ধরলেন, আমরা কেউ প্রেস বক্স থেকে এই সাইট স্ক্রিনের কারণে তা দেখতে পাইনি। পরবর্তীতে টিভিতে বিগ স্ক্রিনে দেখলাম, ওটা ক্যাচ হয়েছে। প্রথমে ভেবেছিলাম ছয়। দেখার জায়গা পুরোপুরি ঢেকে দেয়া এই ধরনের সাইট স্ক্রিন আমি কোথাও দেখিনি। এটা দেখতে প্রচণ্ড অসুন্দর লাগে। বাংলাদেশ এখন বৈশ্বিক ক্রিকেটের যে জায়গায় পৌঁছেছে, সে অনুসারে একটা আন্তর্জাতিক ভেন্যুতে এরকম একটা সাইট স্ক্রিনের কোনো মানে হয় না।
অবশ্য, কেবল নন্দনতত্ত্বের বিচারে অকৃতকার্য হলেও একটা কথা ছিল। বাঁশ দিয়ে তৈরি এমন আকৃতির সাইট স্ক্রিন কাজেও ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। সবদিক থেকে লেটার মার্কস পাওয়ার পরও কেন এমন সাইট স্ক্রিন? কিংবা, কালো কাপড় দিয়ে কেন বাঁশ ঢাকা হলো না; সেই উত্তর দিতে পারেননি ভেন্যু ম্যানেজার শুভদ্বীপ দাস। তিনি জানিয়েছেন, তাদের কাছে স্থায়ী কোনো ফ্রেম না থাকায় ডেকোরেটর্স থেকেই এসব ভাড়া এনে কাজ করতে হয়।
তবে জানা গেছে, যমুনা টিভিতে এই সাইট স্ক্রিন নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশের পর পাওয়া গেছে প্রতিকার। কাজ হয়েছে সারারাত। পুরো সাইট স্ক্রিন খুলে ফেলা হয়েছে। ঢেকে ফেলা হয়েছে সকল বাঁশ। সেই সাথে, সাইট স্ক্রিনকে আরও ১০ ফুট পেছনে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন আর প্রেসবক্স বা গ্যালারি থেকে কারও পক্ষে খেলা দেখা নিয়েও সমস্যা হবে না। সাইট স্ক্রিন থেকে বাঁশও সরেছে। বিপিএলের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য টাকা নয়, পরিকল্পনা ও ধারণার ঘাটতিই যে আকাশছোঁয়া; সেটিকেই যেন আরও একবার প্রকাশ্যে নিয়ে এলো সাইট স্ক্রিনের বাঁশ-কাণ্ড।
আরও পড়ুন: সিলেটে দেখা নেই বিসিবি কর্তাদের; রিপোর্ট প্রকাশের পর খেলা দেখতে আসলেন পাপন
/এম ই
Leave a reply