প্রিমিয়ার লিগে হারের বৃত্তে বন্দি লিভারপুল। কিছুতেই সেরা ছন্দে ফিরতে পারছে না গত কয়েক মৌসুমের দাপুটে দলটি। কিন্তু কেন? কোথায় পিছিয়ে পড়লো অলরেডরা। বিশ্লেষকদের মতে, মাঝ মাঠের ফুটবলার ও দুই স্ট্রাইকারের অফ ফর্মই বেশি ভোগাচ্ছে লিভারপুলকে। জানুয়ারির দলবদলে নতুন মিডফিল্ডার নেয়নি লিভারপুল। আর এতে হতবাক সংশ্লিষ্টরা।
গেলো মৌসুমে এফএ কাপ ও লিগ কাপের শিরোপা জিতেছিল দলটি। হয়েছিল চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইংলিশ লিগের রানার্সআপ। ইয়ুর্গেন ক্লপের আক্রমণাত্মক ফুটবলের মন্ত্রে দুর্দান্ত পারফর্ম করে দারুণ এক মৌসুম পার করেছে লিভারপুল। কেবল ২০২১-২২ মৌসুম নয়, ক্লপের অধীনে গেল কয়েক বছরে জাদুর কাঠির ছোঁয়া যেন বদলে দিয়েছিল অলরেডরা। ২০২০ সালে ৩০ বছর পর লিগ শিরোপা জেতে লিভারপুল।
কিন্তু হঠাৎ এই মৌসুমে যেন থমকে গেছে লিভারপুলের পথচলা! নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে জর্ডান হেন্ডারসন, মোহামেদ সালাহরা। ইপিএলে ২০ ম্যাচে মাত্র ৮ জয়ে টেবিলের ১০ নম্বরে নেমে গেছে দলটি। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৫ ম্যাচের মধ্যে তিনটি হার, সমান ১টি করে ড্র ও জয় আছে লিভারপুলের। যার মধ্যে ব্রাইটনের সাথে দুইবার আর উলভসের বিপক্ষে এক ম্যাচে হেরেছে দলটি।
কিন্তু কেন এমন হলো? বিশ্লেষকদের মতে, লিভারপুলের মিডফিল্ড দলটির দৈন্যতার মূল কারণ। ফ্যাবিনিও আর হেন্ডারসন নেই সেরা ছন্দে। বয়সের সাথে লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়েছেন ৩৭ বছর বয়সী জেমস মিলনার। সেই সাথে থিয়াগো আলকান্ত্রা বল ডিসট্রিবিউশনে পারদর্শী হলেও রক্ষণে আগের মতো অবদান রাখতে পারছেন না।
মাঝ মাঠ থেকে বল যোগানের অভাব হোক কিংবা অন্য কিছু- ফর্মহীনতায় গেল মৌসুমের টপ স্কোরার মোহামেদ সালাহ ও বিগ সাইনিং ডারউইন নুনেজ নিজেদের হারিয়ে খুঁজছেন। তিন ফরোয়ার্ড সাদিও মানে, মিনামিনো আর ডিভক অরিগির দল ছাড়ার প্রভাব পড়েছে অলরেডদের পারফরমেন্সে।
লিভারপুলের হারের অন্যতম কারণ ইনজুরিও। একাদশের নিয়মিত ভার্জিল ভ্যান ডাইক, ইব্রাহিম কোনাটে, মিডফিল্ডার আর্থার, ফিরমিনো, জটা ও লুইস দিয়াসের সার্ভিস পাচ্ছে না দল।
দলের এমন ব্যর্থতার দায় লিভারপুল সংশ্লিষ্টরা দিচ্ছেন দলবদলের বাজারের নিষ্প্রভতাকেও। মাঝমাঠে দুর্বলতা স্পট হলেও কেবলমাত্র স্ট্রাইকার কোডি গাকপোকে জানুয়ারির দলবদলে দলে নিয়েছে অলরেডরা।
/আরআইএম
Leave a reply