শীতকালেও বিরলতম খরার মুখে ফ্রান্স, একে একে শুকিয়ে যাচ্ছে সব নদী

|

ভয়াবহ খরায় সম্মুখীন ফ্রান্স। চরম পানির সংকটে ভুগছে দেশটির বাসিন্দারা। একের পর এক নদী শুকিয়ে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। বাধ্য হয়ে পানির ব্যবহার কমাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে ফরাসি সরকার। ভোক্তা পর্যায়ে সরবরাহে সিস্টেম লস বন্ধ ও বৃষ্টির পানি পুনঃব্যবহারের মতো উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শীতকালেও এমন ভয়াবহ খরা এর আগে দেখেনি দেশটি। বলা হচ্ছে, ১৯৫৯ সালের পর থেকে সবচেয়ে শুষ্কতম শীতকাল পার করছে ফ্রান্স। খবর বিবিসির।

খরার তীব্রতায় ফ্রান্সের দীর্ঘতম নদী লুয়াহও শুকিয়ে গেছে। স্বাভাবিক অবস্থায় এই মৌসুমে নদীটি পানিতে ভরপুর থাকে। অথচ এবার নদীর পানি শুকিয়ে তলানিতে ঠেকেছে। পানির স্তর এতটাই নেমে গেছে যে, বেরিয়ে এসেছে তলদেশের বালিও। নৌকা চলাচলের উপায় নেই। মাছ ধরাও বন্ধ।

ইতিহাসের তীব্রতম খরা দেখছে ফ্রান্সের অন্যান্য অঞ্চলও। বসন্তের শুরুতে যখন বরফ গলার সময়, তখনও মাটিতে ফাটল দেখা যাচ্ছে। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, শীতকালীন খরা চলছে দেশজুড়ে। গ্রীষ্মের পরিস্থিতি কী হবে তা নিয়েই ছড়িয়েছে উদ্বেগ।

এদিকে, পানি সংকট উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছানোয় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে ফরাসি সরকার। ৫টি বিভাগকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আরোপ হয়েছে নানা বিধিনিষেধও।

দেশটির পানি বিশেষজ্ঞ ভ্যাজকেন আন্দ্রেসিয়ান বলেন, এই মৌসুমে এমন পরিস্থিতি আসলেই বিরল। বাসিন্দাদের পানি ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নয়তো সংকট সামাল দেয়া কঠিন হবে। গত ফেব্রুয়ারিতে স্বাভাবিকের তুলনায় ৭৫ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে ফ্রান্সে। ফলে খরার তীব্রতা বেড়েছে অনেকটাই।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply