শেষ বলে পাওয়া নাটকীয় জয়ে নতুন ইতিহাস গড়লো কিউইরা

|

কেন উইলিয়ামসেনের সেঞ্চুরি আর নায়কোচিত ব্যাটিংয়ের সুবাদে দারুণ এক জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।

শেষ দিনের শেষ বলে জয় তুলে নিয়ে ইতিহাস গড়েছে নিউজিল্যান্ড। ক্রাইস্টচার্চে কেন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে থ্রিলার জেতে কিউইরা। ৭৫ বছর পর টেস্ট ক্রিকেট আবার দেখল শেষ বলে জয়। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৬ বছরের ইতিহাসে শেষ বলে জয়ের মাত্র দ্বিতীয় ঘটনা এটি।

শেষ দিনের, শেষ সেশন, শেষ বল। জয়ের প্রয়োজন মাত্র এক রান। ক্রাইস্টচার্চ প্রস্তুত ইতিহাস গড়তে। সেই রান পূর্ণ করতেই রোমাঞ্চকর এক জয় পায় নিউজিল্যান্ড।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের শেষদিনে জয়ের জন্য কিউইদের দরকার ছিল ২৫৭ রান, হাতে ৯ উইকেট। ঘরের মাঠে সহজ লক্ষ্য মনে হলেও, বৃষ্টি বাগড়া দিয়ে যেনো নিউজিল্যান্ডের আশায় ছাই ফেলতে চেয়েছিল।

কিন্তু ক্রাইস্টচার্চের মেঘলা আকাশে এদিন ভিন্ন কিছুই লেখা ছিলো। বৃষ্টিতে প্রথম সেশন ভেসে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিলো ড্র-ই এই টেস্টের নিয়তি। হঠাৎ হ্যাগলি ওভালে আলোর দেখা। ২৫৭ রান তুলতে নিউজিল্যান্ডের হাতে তখন মাত্র ৫৩ ওভার।

কঠিন সমীকরণের মুখে বুক চিতিয়ে লড়াইটা চালিয়ে গেলেন, কেন উইলিয়ামসন। তার অধিনায়োকচিত সেঞ্চুরিতে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে যায় কিউইরা।

দিনের শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ৮ রান। আসিথার প্রথম দুই বলে সিঙ্গেলের পর তৃতীয় বলে ডাবল নিতে গিয়ে রান আউট হন হেনরি নিকোলস। ৩ বলে তখন প্রয়োজন ৫ রান। চতুর্থ বলে দুর্দান্ত এক ড্রাইভে ৪ মেরে স্কোরস লেভেলে আনেন উইলিয়ামসন।

পঞ্চম বলে বিতর্কিত বাউন্সারে কোনো রান যুক্ত না হলে হলে ম্যাচ গড়ায় শেষ বলে। যে বলের নাটকীয়তা গড়ায় থার্ড আম্পায়ার পর্যন্ত। ব্যাটে বলে সংযোগ না হলেও দৌড় দেন দু’ ব্যাটসম্যান। থ্রো করে উইকেট ভেঙে দেয়ার আগেই ব্যাটসম্যান যে ক্রিজে পৌঁছে গেছেন, সেটা নিশ্চিত হবার সাথে সাথে উৎসবে মেতে ওঠে ব্ল্যাক ক্যাপসরা।

আর তাতেই ৭৫ বছর পর টেস্ট ক্রিকেট আবার দেখল শেষ বলে জয়। ১৯৪৮ সালে ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ বলে জয় পায় ইংলিশরা। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৬ বছরের ইতিহাসে শেষ বলে জয়ের মাত্র দ্বিতীয় ঘটনা এটি।

আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১ রানে জয়, আর এবারের জয় এলো ম্যাচের শেষ বলে। নিউজিল্যান্ডের পরপর দুটি ম্যাচ জানান দেয় টি-টোয়েন্টির ডামাডোলে এখনও কেনো সেরা টেস্ট ক্রিকেট।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply