আজও রাজধানীতে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন বাস মালিকরা। গণপরিবহন না থাকায় চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা।
তবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরশেনের (বিআরটিসি) কয়েকটি বাস চলতে দেখা গেছে। সেগুলোতেও উঠতে হচ্ছে অনেক কষ্ট করে। সড়কে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস চলাচল করলেও সেগুলোও অনেক কম। ফলে নগরবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
গত ২৯ জুলাই বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের জেরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে অজুহাত দেখিয়ে বাস বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। এর ফলে অফিসগামী মানুষরা পড়েছেন বিপাকে।
এদিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গতকালের মত আজও চালকদের লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করেছেন। এ কারণে রাজধানী গণপরিবহন শূণ্য হয়ে পড়েছে। তবে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে আজও বাস নামাননি শ্রমিক ও বাস মালিকরা। এ গণপরিবহন সংকটের ফলে নগরবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে বাস না পেয়ে হেটেই যাচ্ছেন গন্তব্যে।
গত ২৯ জুলাই (রোববার) কর্মিটোলায় জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। প্রধানমন্ত্রী ২ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে নিয়ে এসে তাদের সান্ত্বনা ও সমবেদনা জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী নিহত দুই শিক্ষার্থীর প্রত্যেক পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র দেন।
বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। বুধবার চতুর্থ দিনের মাথায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঢাকার পর চট্টগ্রাম, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে।
যমুনা অনলাইন: আরএম
Leave a reply