টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যত কী?

|

ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টির পর আইসিসি যখন টি-টেন ক্রিকেটের কথা ভাবছে তখন স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে ক্রিকেটের চিরায়ত ফরম্যাট-টেস্টের ভবিষ্যত কী? সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের আগ্রাসনে টেস্ট ক্রিকেট টিকিয়ে রাখতে একে আরো অর্থবহ করার তাগিদ দিয়েছেন সাবেক ক্রিকেটাররা।

ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির মতে, দর্শক প্রিয়তা বাড়াতে ক্রিকেটারদের পাশাপাশি ফ্যানদের নিয়েও ভাবার সময় এসেছে। আর, সাবেক লঙ্কান অধিনায়ক কুমারা সাঙ্গাকারার মতে, আর্থিক নিশ্চয়তা ও সুন্দর ক্যারিয়ারের সুযোগ বাড়ালে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের চেয়ে সাদা পোশাকে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার ব্যাপারে আগ্রহ বাড়বে ক্রিকেটারদের।

লঙ্কান কিংবদন্তীর মতে, চুক্তিভিত্তিক বিধি নিষেধের কারণে অনেক ক্রিকেটার ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগ খেলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। যার সবচেয়ে বড় উদাহারণ উইন্ডিজ। এফসিএ’র জরিপ বলছে ৭০ শতাংশের বেশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির পক্ষে। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলো ক্রিকেটারদের অন্তত ৩ বছরের চুক্তির পাশাপাশি নানা সুবিধা নিশ্চিত করলে ফ্রাঞ্চাইজিল লিগের চেয়ে দেশের হয়ে খেলতে চাইবে তারা।

সাদা পোশাকের অভিজাত্য ফেরাতে চলছে নানামুখি পরিকল্পনা। দিবারাত্রির টেস্ট বা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ যার অংশ। এসব উদ্যোগ কী পারবে টেস্ট ক্রিকেটের হারানো গৌরব ফেরাতে?

ক্রীড়া ভাষ্যকার হার্শা ভোগলে বলেন, আমার মনে হয় টেস্ট ক্রিকেটের সমস্যা শুধু ক্রিকেট না। এর অনেক প্রতিদ্বন্দ্বীও বেড়ে গেছে। আসলে এটা এই প্রজন্মের সমস্যা। এখনকার তরুণরা বেশি সময় কাটায় নেটফ্লিক্স আর ডেটিংয়ে। আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উত্তেজনা টেস্টের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী।

টেস্ট ক্রিকেটকে আরো অর্থবহ করার কথা বলেছেন গাঙ্গুলি। ২০২০ সালের আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ থেকেই এর শুরু হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। বলেন, দর্শকদের আরো কাছে পৌছাতে হবে। যেমন ডে-নাইট টেস্টের আয়োজন করা। যেন কাজ শেষে বিকেলে ম্যাচ উপভোগ করতে পারেন তারা। কাজ ফেলে তো সারা দিন গরমে বসে মানুষ খেলা দেখতে চায় না।

সাবেক ক্রিকেটারদের মতে, টেস্ট ক্রিকেটের আবেদন চিরন্তন। ক্রিকেট বোর্ডগুলোর ব্যবস্থাপনা ও সঠিক মার্কেটিং পলিসিই পারে টেস্ট ক্রিকেটকে দর্শকের কাছে আরও প্রাণবন্ত করে তোলতে।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply