নিউ মেক্সিকোর আকাশে ঝাঁক বেধে উড়ছে মৃত পাখিরা!

|

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

আকাশে উড়ছে মৃত পাখিরা! ডানা মেলে তারা ছুটছে দলবেঁধে। কল্পনা বা রূপকথার গল্প নয়। বাস্তবেই দেখা মিলবে এমন পাখির ঝাঁক। মৃত পাখির দেহাবশেষের সাথে ড্রোন জুড়ে দিয়ে আকাশে ওড়ানোর অভিনব এ উদ্যোগ নিয়েছে আমেরিকার নিউ মেক্সিকোতে। মূলত, বিমান গবেষণা ও বন্যপ্রাণী নিরীক্ষণের উদ্দেশেই সেখানে তৈরি করা হচ্ছে মৃত পাখি সংযুক্ত এসব ড্রোন। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

যান্ত্রিক এ পাখিগুলোকে সত্যিকারের পাখি ভেবে বিভ্রান্ত হতে পারে যে কেউই। আসল পাখির মতোই এগুলো উড়তে পারে আকাশে। ঝাঁপটাতে পারে ডানা। এমনকি মিশে যেতে পারে জ্যান্ত পাখির ঝাঁকের মাঝেও। কৃত্রিম এ পাখিগুলো আসলে মৃত পাখিদের দেহাবশেষ দিয়ে সংযুক্ত বিশেষ ধরনের ড্রোন।

নিউ মেক্সিকোর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ডক্টর হাসনালিয়ান বন্যপ্রাণী গবেষণার কাজে সহযোগিতার জন্য প্রথম কাজ শুরু করেন ফ্ল্যাপিং উইং ড্রোন নিয়ে। উদ্দেশ্য ছিল, পাখিদের নিরীক্ষণ করে বিমান শিল্পের গবেষণায় নতুন তথ্যের সন্ধান। মূলত, পাখিদের দীর্ঘক্ষণ আকাশে ওড়ার কৌশল ও শক্তি সঞ্চয়ের বিষয়টি জানার চেষ্টা করছেন গবেষকরা। যাতে বিমানের জ্বালানি খরচ কমানো সহজ হয়।

নিউ মেক্সিকান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা হাসনালিয়ান বলেন, ট্যাক্সিডার্মি বার্ড ড্রোন বেশ ভালভাবেই পাখিদের ওপর নজর রাখতে পারে। এর মাধ্যমে পাখিদের ওড়ার কৌশল পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। যেটা বিমান শিল্পে গবেষণার কাজে সাহায্য করবে।

কৃত্রিম উপকরণ দিয়ে বানানোর কারণে সেগুলো খুব বেশি পাখিদের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারতো না। তাই মৃত ট্যাক্সিডার্মি পাখিদের দেহাবশেষ দিয়ে ড্রোন বানানোর সিদ্ধান্ত নেন হাসনালিয়ান। সুফল ও পেয়ে যান তাড়াতাড়ি। কেননা আসল পাখির শরীরের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করায় ড্রোনগুলো সহজেই ঝাঁকের সাথে মিশে যেতে পারে। তবে যান্ত্রিক এই পাখিগুলো একটানা ১০-২০ মিনিটের বেশি উড়তে পারে না। তাই এ নিয়ে আরও বিস্তর গবেষণার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, এ ড্রোনগুলোর অপব্যবহার নিয়েও উদ্বিগ্ন গবেষকরা। কেননা পাখির ছদ্মবেশি এ ধরনের ড্রোন ব্যবহার করে খুব সহজেই গোয়েন্দা নজরদারি চালানো সম্ভব।

এসএইচ/ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply