ইমরান খানের দাপটে পাক রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর আধিপত্য এবার প্রশ্নবিদ্ধ!

|

স্বাধীনতার পর থেকেই পাকিস্তানের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে দেশটির সেনাবাহিনী। তবে তাদের সেই আধিপত্য এবার প্রশ্নের মুখে। জামিন থেকে বের হয়েই সেনাপ্রধানকে রীতিমতো তুলোধুনা করেছেন ইমরান খান। কোনো রাজনীতিবিদের কণ্ঠে সামরিক কর্মকর্তার এমন সমালোচনা দেশটিতে নজিরবিহীন। এমনকি পিটিআই সমর্থকদের চলমান বিক্ষোভে যেভাবে সামরিক বাহিনীর ওপর মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে, তাতে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এবার কোণঠাসা পাকিস্তানের সেনাবাহিনী? খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের।

শুক্রবার (১২ মে) ২ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে বের হয়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন ইমরান খান। বলেন, দেশে এখন যা কিছু হচ্ছে সবকিছুই ঘটছে এই একজনের (সেনাপ্রধানের) ইশারায়।

শুধু এবারই নয়, ক্ষমতা হারানোর পর বেশ কয়েকবারই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ইমরান খান। এমনকি শীর্ষ এক সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুইবার হত্যাচেষ্টার অভিযোগও তুলেছেন পিটিআই প্রধান, পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যা নজীরবিহীন।

কেবল দলনেতাই নয়, চলমান বিক্ষোভ সহিংসতায় পিটিআই সমর্থকদের ক্ষোভের বিস্ফোরণও দেখেছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। লাহোরের কর্প কমান্ডারের বাড়িতে লুটপাট চালায় বিক্ষোভকারীরা, রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা দফতরের সামনেও হয় বিক্ষোভ। এছাড়া, দেশজুড়ে আন্দোলনকারীদের মুখে সরকার বিরোধী স্লোগানের পাশাপাশি ছিল সেনাবিরোধী স্লোগানও।

১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত অর্ধেক সময়ই সরাসরি সেনাশাসনের অধীনে ছিল পাকিস্তান। অভিযোগ, গণতান্ত্রিক সরকারের পেছনেও বরাবরই ছিল উর্দিধারীদের দাপট। ক্ষোভ থাকলেও, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পিটিআইয়ের মতো এভাবে স্পষ্ট অবস্থান নেয়ার ঘটনা পাকিস্তানের রাজনীতিতে দেখা যায়নি। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি কমে গেছে পাক সেনাবাহিনীর আধিপত্য?

দুর্নীতি দমন সংস্থা এনএবি’র হেফাজতে থাকলেও, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ইমরানকে গ্রেফতার করে মূলত আধাসামরিক বাহিনী। পিটিআইয়ের দাবি, সবকিছুর পেছনে রয়েছে সেনাবাহিনী। তবে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে, কারাগারে রাখা যায়নি ইমরান খানকে। সেনাবাহিনীর সেই সুদিন যে এখন আর নেই, এটিও তার প্রমাণ এমনটি বলছেন অনেকে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply