সাইফুল ইসলাম:
তৈরি পোশাক শিল্প মালিক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) তৈরি পোশাক খাতের নতুন বাজার খুঁজছে। ইউরোপ-আমেরিকার পাশাপাশি নতুন বাজারেও শক্ত অবস্থান তৈরি করতে চান উদ্যোক্তারা। এজন্য মধ্যপ্রচ্যের বিভিন্ন দেশের ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ চলছে।
এদিকে, নীতি-নির্ধারকরা বরাবরই নতুন বাজার তৈরির তাগিদ দিয়ে আসছেন। এজন্য দেয়া হচ্ছে নীতি সহায়তা-ও।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহসভাপতি ফজেল শামীম এহসান বলেন, ভিয়েতনাম-ভারত-চীন-পাকিস্তান সবাই বসে আছে, আমাদের থেকে অর্ডার গেলে তারা ধরে ফেলার জন্য। তাদের কাছে অর্ডার কম। এই মুহূর্তে এই সুযোগটা দেয়া ঠিক হবে না। আমরা নতুন বিনিয়োগ করতে পারছি না। কিন্তু এই খাতে নিয়মিতই সবকিছু পরিবর্তন হচ্ছে; ফ্যাশন পরিবর্তন হচ্ছে, নতুন-নতুন মেশিন আসছে।
বিজিএমইএ এর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ভারত, কোরিয়া ও জাপানে আমাদের রফতানি বেড়েছে। এখন আমাদের ফোকাস হলো মধ্যপ্রাচ্যে। আমরা সেসব দেশের বায়ার ও আমাদের হাইকমিশনের সাথে কাজ করছি। আশা করছি, আগামী বছরে এসব দেশে রফতানি বাড়বে।
শুধু পোশাক রফতানি নয়। বিদেশি উদ্যোক্তাদের দেশে বিনিয়োগের জন্যে উৎসাহিত করা প্রয়োজন। এজন্য নীতি সহজ করার তাগিদ দেন বিজিএমইএ সভাপতি।
ফারুক হাসান বলেন, আমরা অনেক কিছু সহ্য করে করি। কিন্তু বিদেশ থেকে যারা বিনিয়োগ করতে আসেন, তারা কিন্তু হয়রানি পছন্দ করেন না। এক্ষেত্রে আইন ও ব্যবসা করার প্রক্রিয়া যত সহজ করা যাবে, তত বিনিয়োগ বাড়বে।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থ বছরের তৈরি পোষাক খাতে ১০ মাসে রফতানি আয় সাড়ে ৩৮ বিলিয়ন ডলার।
/এমএন
Leave a reply