টাইগারদের অসহায় আত্মসমর্পণ

|

পচেফস্ট্রুম টেস্ট বাঁচাতে শেষ দিনে এতটুকুও লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম সেশনেই বাকি ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯০ রানে গুটিয়ে যায় মুশফিকের দল। ৩৩৩ রানের জয় তুলে সিরিজে ১-০’তে এগিয়ে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা। আর, কাগিসো রাবাদা-কেশব মহারাজের বোলিংয়ে চতুর্থ ইনিংসে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় পড়েছে বাংলাদেশ।

আগের দিন ভয়ংকর হয়ে ওঠা মরনে মরকেল ইনজুরির কারণে এদিন মাঠে না নামায় কিছুটা স্বস্তির কারণ হয়ে এসেছিলো বাংলাদেশ শিবিরের জন্য। কিন্তু উল্টো রাবাদা ঝড়ে উড়ে যায় মুশফিক বাহিনী।

সেই ভরাডুবির শুরু দিনের তৃতীয় ওভারেই। রাবাদার এক্সট্রা বাউন্সের প্রথম দুই বল সামলাতে পারলেও তৃতীয় বলে ডাক করতে না পারার খেসারত দিতে হয়েছে পুরো বাংলাদেশকে। শুরুতে মুশফিকের বিদায়েই যে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।

দারুণ বাউন্ডারির মাধ্যমে রানের খাতা খুললেও জড়তা ছিল মাহমুদুল্লার ব্যাটিংয়ে। নড়বড়ে ব্যাটিংয়ে রাবাদাকে সামলাতে না পেরে ইনিংসে দ্বিতীয় বারের মত প্লেড অন হয়ে ৯ রানে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ। সর্বনিন্ম রানে অল আউট হওয়ার লজ্জা এড়িয়ে তখন ৬২ রানে ৫ উইকেটের দল বাংলাদেশ।

লিটন-সাব্বিরের ব্যাটে তখন মান বাঁচানোর চেষ্টা। কিন্তু কিসে কি? ভেতরে ঢোকা বল ছেড়ে দিয়ে রাবাদার তৃতীয় শিকারে পরিণত হন লিটন দাস। আর সাব্বিরও হয়েছেন পুরোপুরি ব্যর্থ। ম্যাচের এমন কোনঠাসা অবস্থায় তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং প্রশ্নের জন্ম দিতেই পারে।

৭১ রানে টপ অর্ডারের ৮ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে পরাজয় যখন সময়ের ব্যাপার, তখন ৩ রান নিতে গিয়ে অকারণে রান আউট হয়ে শফিউলের বিদায়।

এরপর মোস্তাফিজের বিদায়ে নিঃসঙ্গ লড়াই থামে ইনিংসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৫ রান করা মেহেদী মিরাজের। ফলে ৪র্থ ইনিংসে সর্বনিম্ন ৯০ রানের পাশাপাশি প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সবচেয়ে কম সংগ্রহের লজ্জায় বাংলাদেশ।

 

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply