চিলমারীতে স্কুলে যাওয়ার রাস্তা না থাকায় ভুগছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

|

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

যাতায়াতের জন্য রাস্তা না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন কুড়িগ্রামের চিলমারীর একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বর্ষা মৌসুমে এই ভোগান্তির মাত্রা বাড়ে কয়েকগুণ। ফলে দিন দিন কমছে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা। শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি স্থানীয়দের।

বর্ষা মৌসুমে স্কুলে যাতায়াতে কলা গাছের ভেলা অথবা নৌকাই প্রধান ভরসা পূর্বচর পাত্রখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। শুষ্ক মৌসুমে জমির আইল আর ঝোপঝাড় পেরিয়ে যাওয়া-আসা করতে হয় স্কুলে।

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের পূর্বচর পাত্রখাতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যাত্রা ১৯৮৮ সালে। ২০১৩ সালে স্কুলটি জাতীয়করণ হয়। পরবর্তীতে নির্মাণ করা হয় দোতলা ভবন। ভাল অবকাঠামো থাকলেও যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় বিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। বর্ষা মৌসুমে স্কুলের আশপাশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তির মাত্রা আরও বাড়ে।

শিক্ষকরা বলছেন, বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতের অসুবিধার কারণে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ৩০-৪০ শতাংশে কমে যায়। ফলে চরাঞ্চলে বাড়ছে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার।

এ প্রসঙ্গে পূর্বচর পাত্রখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজ বিন রানু বলেন, শুষ্ক মৌসুমে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি থাকলেও বর্ষায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার একদমই কমে যায়। এতো ঝামেলা পেড়িয়ে বাচ্চারা স্কুলে আসতে চায় না।

পূর্বচর পাত্রখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মর্জিনা বেগম এ প্রসঙ্গে বলেন, কলা গাছে ভেলা বা নৌকাযোগে আসার সময় বাচ্চারা অনেক সময় পানিতে পড়ে যায়। আসার রাস্তা ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় বাচ্চারাও স্কুলে আসতে চায় না। বাবা-মায়েরাও এরকম রাস্তায় বাচ্চাদের পাঠাতে চান না।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা জানা আছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার। সমস্যা সমাধানে তিনি দিয়েছেন আশ্বাসও। চিলমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু ছালেহ সরকার বলেন, নব নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে এ ব্যাপারে কথা হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে রাস্তার কাজ শুরু হবে জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, পূর্বচর পাত্রখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থী রয়েছে ১২৪ জন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply