ফরিদপুর করেসপন্ডেন্ট:
রাসেল ভাইপার সাপের উপদ্রবে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ফরিদপুরের চরাঞ্চলে। সম্প্রতি এ জেলার চরভদ্রাসনে রাসেল ভাইপারের কামড়ে এক সাপুড়ের মৃত্যু হয়েছে। ১১ জুলাই বিষধর সাপটির ছোবল খাওয়ার সপ্তাহখানেক পর, মারা যান সাপুড়ে নজরুল। তার মৃত্যুর পর দু’টি হাসপাতালে কিছু প্রতিষেধক পৌঁছুলেও সেটা পর্যাপ্ত নয়। উপজেলা পর্যায়ে অনেক হাসপাতালে জীবনরক্ষাকারী ওষুধটি (অ্যান্টিভেনম) নেই।
দিনদিন রাসেল ভাইপারের আতঙ্ক বাড়ছে ফরিদপুরের চরাঞ্চলে। স্থানীয়রা জানায়, গত চার বছরে এই সাপের কামড়ে মারা গেছে বেশ কয়েকজন। উপজেলা পর্যায়ে বেশিরভাগ আক্রান্তরা ওঝার কাছেই ছুটে যান। হাসপাতালেও নেই অ্যান্টিভেনম। বাইরে থেকে কিনতে গেলেও দাম অনেক। অনেক হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম থাকলেও তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আবার কোথাও কোথাও আইসিইউ না থাকায় চিকিৎসকরা ঝুঁকি না নিয়ে রোগীকে বড় হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু বড় হাসপালে পৌঁছানোর আগেই রোগীর মৃত্যু হয়।
দেশে যে অ্যান্টিভেনম পাওয়া যায়, তা চারটি সাপের বিষের একটি ককটেল। প্রশ্ন হলো, রাসেল ভাইপারের ক্ষেত্রে কি তা প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে? চিকিৎসকরা বলছেন, এ বিষয়ে গবেষণা দরকার। তবে, সাপুড়ের মৃত্যুর পর ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিছু অ্যান্টিভেনম এসেছে। তবে সাপে কাটা মানুষকে বাঁচাতে আরও অ্যান্টিভেনম দরকার বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
/এএম
Leave a reply