চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতার দায় কার? (ভিডিও)

|

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

বন্দরনগরীতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার দায় কার?- এ নিয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ এবং সিটি করপোরেশনের মধ্যে চলছে বাহাস। দায় চাপাচ্ছেন পরস্পরের ঘাড়ে, তুলছেন প্রকল্পের কাজে গাফিলতির অভিযোগ। টানা ৬ দিন ধরে জলাবদ্ধতায় নজিরবিহীন ভোগান্তির পর, মুখ খুলেছেন দুই সংস্থার প্রধান।

প্রায় দুই দশক ধরে চট্টগ্রামের অন্যতম প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। তবে টানা ৬ দিন ধরে বন্দরনগরীর অর্ধেক অংশ পানির নিচে তলিয়ে থাকার ঘটনা এবারই প্রথম। আর, জলাবদ্ধতা হলেই চলে সিটি করপোরেশন ও সিডিএ’র মধ্যে বাহাস আর পরস্পরের ঘাড়ে দায় চাপানো। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও।

জলাবদ্ধতা নিরসনে সবচেয়ে বড় এবং মূল প্রকল্পের দায়িত্বে আছে সিডিএ। তাদের দাবি, ৭৬ ভাগ শেষ। কিন্তু, ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়া ড্রেন-নালা-নর্দমা পরিস্কার না করা এবং নতুন বাড়ইপাড়া খাল খনন না করায় তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এজন্য, সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতাকে দুষছে সিডিএ।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম বলেন, সিডিএ এর কোনো গাফিলতি এক্ষেত্রে নাই। সিডিএ ৩৬টা খালের কাজ করছে। অন্য কোনো নালা-নর্দমার কাজ সিডিএ করছে না, করার কথাও না। সিটি করপোরেশন না পারায় কাজটা সিডিএকে দিয়েছে সরকার।

আর, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্ণেল শাহ আলী বললেন, ১৬০০ কি.মি. এর মধ্যে ৩০০ কি.মি. ড্রেন আমার। বাকি ১৩০০ কি.মি. কিন্তু আমাদের না। বা আমাদের প্রকল্পের মধ্যে পড়ে না। এখন আপনারা যদি বলেন যে, এ থেকে মুক্তি মিলবে কবে? তাহলে আমি বলবো- আমার ৩০০ কি.মি.র সাথে বাকি ১৩০০ কি.মি. ড্রেন পরিষ্কার রাখতে হবে।

অন্যদিকে, সিটি মেয়র দুষছেন সিডিএ’কে। প্রকল্পের অধীনে থাকা সব খাল সংস্কার না করা, গভীরতা বাড়াতে মাটি উত্তোলন না করা এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এ পরিস্থিতি, বলছেন মেয়র।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, কে কী বলছে আমার এটা জানার প্রয়োজন নেই। আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে পারছি কি না এবং তা সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে কি না। আমি কারোর থেকে সার্টিফিকেট নিতে বসিনি। পাবলিক আমার দিকে আঙুল তোলে কারণ আমি নির্বাচিত প্রতিনিধি। অন্য কোনো সংস্থা নির্বাচিত নয়।

প্রসঙ্গত, সিডিএ ছাড়াও জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের আলাদা প্রকল্প চলমান। এ খাতে মোট ১১,৩৪৪ কোটি টাকা বাজেটের মধ্যে গত ৬ বছরে খরচ হয়েছে ৫,৭৯০ কোটি টাকা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply