ভারত থেকে আমদানি কমায় আসছে চীন-পাকিস্তানের পেঁয়াজ; চাহিদা কম, বলছেন ব্যবসায়ীরা

|

চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো দেশে আমদানি হচ্ছে চীন ও পাকিস্তানের পেঁয়াজ। এরইমধ্যে প্রথম দফায় প্রায় ১২০০ টনের চালান ঢুকেছে দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে, পাইপলাইনে আছে আরও। ভারত থেকে আমদানি কমায় বেশিরভাগ আড়ত এখন খালি। তাই সংকট মেটাতে পেঁয়াজ আসছে বিকল্প দুই দেশ থেকে।

চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজগুলো আকারে বড়। ৪-৫টি পেঁয়াজেই ১ কেজি হয়ে যায়। খাতুনগঞ্জে এখন টনে টনে ঢুকছে এসব পেঁয়াজ। অবশ্য পাকিস্তানের পেঁয়াজ আকারে তুলনামূলক ছোট। দুই ধরনের পেঁয়াজই মানভেদে ৪৫ থেকে ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে। খুচরা পর্যায়ে তা আরও বেশি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে ভারতীয় পেঁয়াজেরই মূল চাহিদা। চীন ও পাকিস্তান থেকে আমদানি করা এসব পেঁয়াজে কিছুটা লসের মুখ দেখতে হচ্ছে তাদের। তার প্রধান কারণই এগুলোর আকার। এত বড় আকারের পেঁয়াজ রান্নার কাজে ব্যবহার করতে চান না অনেকে। তাই বিক্রিও তুলনামূলক কম হচ্ছে বলে জানান তারা। তাদের অভিযোগ, পেঁয়াজের দাম বাড়তি থাকলে ম্যাজিস্ট্রেট এসে তদারকি করেন। কিন্তু ব্যবসায়ীদের চলমান দুঃসময়ে খোঁজ নেয়ার কেউ নেই।

এ নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক নাছির উদ্দিন বলেন, গত মাস থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত চীন থেকে এসেছে ১৭৪ মেক্ট্রিক টন পেঁয়াজ। আর পাকিস্তান থেকে এসেছে ৯৮৮ মেট্রিক টন। সবমিলিয়ে চীন ও পাকিস্তান থেকে এসেছে ১ হাজার ১৬২ মেট্রিক টন। সামনে আরও আসবে।

মূলত, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি একেবারে কমে যাওয়ায় কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। খাতুনগঞ্জে ৭০টি আড়তের মধ্যে ৫০টিই এখন শূন্য। এ সুযোগে আমদানি হচ্ছে বিকল্প দুই দেশ থেকে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply