ক্রিকেট ইতিহাসের ভারত-পাকিস্তানের লড়াই মানেই যেন অন্যরকম উত্তেজনা। সেই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে মাঠ ও মাঠের বাইরেও। তবে বর্তমানে দু’দেশের লড়াইকে ছাপিয়ে গিয়েছে কোহলি-বাবর ব্যক্তিগত দৈরথ। বিশ্বকাপে রানে কে কাকে ছাড়িয়ে যাবেন, তা নিয়েও চলছে নানা ভবিষ্যদ্বাণী। কেউ কোহলিকে বিশ্বকাপের সেরা ব্যাটার হিসেবে দেখছেন, তো কারও চোখে এগিয়ে বাবর।
বিশ্বকাপের আগে ছন্দে আছেন বাবর–কোহলি। আলো ছড়াচ্ছে দু’জনের ব্যাটই। তাইতো ব্যাটিংয়ে নিজ নিজ দেশের ভরসার অন্যতম প্রতীকও তারা। বিশ্বকাপে বাবর-কোহলির ব্যক্তিগত দ্বৈরথে কোহলিকেই এগিয়ে রাখছেন ভারতের সাবেক তারকা ওপেনার বীরেন্দর সেওয়াগ। কোহলিকে এগিয়ে রাখার পেছনে বাবরের প্রতি দলের নির্ভরশীলতাকেই দায়ী করছেন তিনি।
ক্রিকবাজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সেওয়াগ বলেন, বাবর আজম একজন ভালো খেলোয়াড়। সে বড় স্কোর করতে সক্ষম। তবে আমি ভিরাট কোহলির মধ্যে যে ক্ষুধা দেখি, তা আর কারও মধ্যে দেখি না। এমনকি আজও সে পুরানো আগ্রাসী মনোভাব নিয়েই মাঠে নামে।
বর্তমান সময়ে দু’জনই আছে ফর্মের তুঙ্গে। বোলারদের রীতিমত শাসন করেন এই ব্যাটার। এরপরও দুজনের মধ্যে কেন কোহলিকে এগিয়ে রেঝেছেন সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সেওয়াগ। তিনি বলেন, বাবর ভালো ব্যাটার। ব্যাপার হচ্ছে দল তার ওপর নির্ভরশীল। তাই সে অনেকটাই চাপে থাকে। ভারত শুধুই কোহলির ওপর নির্ভরশীল নয়। তার কাজ সহজ করার জন্য দলে আরও ব্যাটার আছে। কিন্তু দল যখন একজন খেলোয়াড়ের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে তার পারফরমেন্সও ভালো হয় না।
এরই মধ্যে ৩৪ বসন্ত পেরিয়েছে কোহলির। বিশ্বকাপের ১৩তম আসরই হতে পারে তার শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু মাঠে কোহলির আগ্রাসী মনোভাব এবং পারফরমেন্স দেখে এখনো ২০–২২ বছরের তরুণই মনে হয় সেওয়াগের কাছে। তিনি বলেন, যখন সে (কোহলি) মাঠে নামে আমার মনে হয় না তার বয়স ৩৪ বছর। তাকে দেখে এখনো ২০–২২ বছরের তরুণই মনে হয়। এখনো সেই আগের মতো প্রাণশক্তি নিয়ে সে মাঠে প্রবেশ করে। তার মধ্যে এ বিশ্বাসটা আছে যে এটা তারই বিশ্বকাপ।
নিজ দেশে বিশ্বকাপ হওয়াতে হয়তো একটু বাড়তি সুবিধা পাবেন কোহলি। তবে বাবরও যে ছেড়ে কথা বলবে না সেটা তার পারফরমেন্সই বলে দিচ্ছে।
/আরআইএম
Leave a reply