স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর
তিস্তা অববাহিকা থেকে গত দুইদিনে পাঁচটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা। হাতে বাঁধা সুতা এবং চেহারা দেখে তারা ভারতীয় নাগরিক বলে ধারণা করছে পুলিশ। মরদেহগুলো ভারতের সিকিম থেকে বন্যার পানির সঙ্গে ভেসে আসতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।
উদ্ধার মরদেহগুলোর মধ্যে একজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যদের পরিচয় এখনও শনাক্ত হয়নি।
উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে লালমনিরহাট সদর থানা দুইটি, হাতিবান্ধা থানা একটি, রংপুরের গঙ্গাচড়া ও নীলফামারীর ডিমলা থানা পুলিশ একটি করে মরদেহ উদ্ধার করেছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি সুমন ফারুক জানান, শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ পাকার মাথা এলাকায় তিস্তার চরে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। একই স্থানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি শিশুর মরদেহ পাওয়া যায়। এখনও এই দু’জনের পরিচয় সনাক্ত হয়নি। তাদের হাতে বাঁধা সুতা দেখে ধারণা করা হচ্ছে তারা ভারতীয় নাগরিক। সিকিমের বন্যার পানিতে ভেসে আসতে পারে। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর সাথে কথা বলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
হাতিবান্ধা থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সেন্দুরনা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের তিস্তা নদীতে একজনের মরদেহ ভেসে ওঠার খবর পাই। মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। এখনও তার পরিচয় সনাক্ত হয়নি।
রংপুরের গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের চর ছালাপাক এলাকা থেকে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তার হাতে সুতা বাঁধা রয়েছে। তিনি ভারতীয় নাগরিক বলে ধারণা করছি। বন্যা পানিতে ভেসে এসেছে।
ডিমলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লাইছুর রহমান বলেন, উপজেলার খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদীর কিছামত ছাতনাই চর থেকে বৃহস্পতিবার এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনীকে জানানো হলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন বলে সনাক্ত করেছে ভারতীয় বাহিনী।
/এনকে
Leave a reply