ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের আওতায় চলতি অর্থ বছরে ঠাকুরগাঁওয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয় ও আচার-অনুষ্ঠানের জন্য আসা বরাদ্দ জিআর প্রকল্পের চাল স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং এক জামায়াত নেতার যোগসাজশে লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দ লোপাটে হতবাক ও ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
গত জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে প্রকল্পের ২২৭ টন চাল উত্তোলন করা হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা। কাগজে-কলমে দেখানো হয়, ১৯৮টি প্রতিষ্ঠানে দেয়া হয়েছে জিআর এর চাল। প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা তা বুঝেও নিয়েছেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মসজিদ, মন্দির বা গির্জা কোন প্রতিষ্ঠানই পায়নি চালের ছিটেফোঁটাও।
জানা গেছে, স্থানীয় প্রশাসনের দু’একজন কর্মকর্তা প্রকল্পটি তৈরি করেন। যার নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া। প্রকল্পটি তদবির করে মন্ত্রণালয় থেকে পাশ করিয়ে নিয়ে আসেন সদর উপজেলার আখানগর ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক আমির শামসুজ্জামান দুলাল। পরবর্তীতে চাল তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করতে সহায়তা করেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মন।
অভিযুক্ত সীমান্ত কুমার বর্মন বলেন, আমি এতে জড়িত ছিলাম না। তখন দেশের বাইরে গেছিলাম।
এ বিষয়ে তদন্তের আগে তেমন কোন মন্তব্যই করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
অনিয়ম নিয়ে বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ছুটিতে থাকার অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যান। কথা বলেননি জেলা প্রশাসকও।
Leave a reply