সরকার গঠিত কমিটি কর্তৃক প্রতিবেদনে ৯ম গ্রেড থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত বাতিলের যে প্রতিবেদন দিয়েছে সেটিকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছি। তবে যতদিন পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারি না হবে, ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
সোমবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা এসব কথা বলেন।
এর আগে সোমবার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড চাকরির ক্ষেত্রে) সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা না রাখার সুপারিশ করেছে সরকার গঠিত কমিটি। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমাও দিয়েছে কমিটি। সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, কোটা সংস্কার প্রজ্ঞাপন আকারে জারি না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।
আন্দোলনকারীদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন বলেন, সুপারিশের ৩দফা বাস্তবায়ন হলে আমরা ফিরে যাবো।
তিন দফা দাবি হলো- মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা, হামলাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা এবং পাঁচ দফার আলোকে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন দেয়া।
আগামীকাল ১১টায় সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণাও দেয়া হয় সম্মেলন থেকে।
Leave a reply