পাকিস্তানের এই বেহাল দশা কেনো?

|

ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপ আসর শুরু করেছিলো পাকিস্তান। তাদের এই আসরের অন্যতম ফেভারিটও ধরা হচ্ছিলো। কিন্তু পরপর তিন হারে দুমড়েমুচড়ে গেছে বাবর আজমদের আত্মবিশ্বাস। সবশেষ ম্যাচে আফগানদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পন বলছে সে কথা। কিন্তু কেন পাকিস্তানের এই বেহাল দশা?

পাকিস্তানি সাবেকদের মতে, এ দশার জন্য প্রথম দায় অধিনায়ক বাবরের। তাকে বিশ্ব সেরা ব্যাটারদের কাতারে মানলেও অধিনায়ক বাবরকে নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন ওয়াসিক আমরাম, শোয়েব আখতার, শোয়েব মালিকের মতো সাবেক অধিনায়করা।

আফগানিস্তানের দুই ওপেনার পেস বলের বিপক্ষে শক্তিশালি হলেও পাওয়ার প্লেতে তিন পেসারকে দিয়েই বল করিয়েছেন বাবর। সেই সাথে একাদশ নির্বাচন, ম্যাচের কৌশল নির্ধারণসহ অনেক বিষয়ে বাবর বিচক্ষণতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মনে করছেন সাবেক এই অধিনায়করা।

সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক বলেন, দলের এমন অবস্থার দায় নিতে হবে অধিনায়ক বাবরকে। ব্যাটার হিসেবে সে বিশ্ব সেরাদের কাতারে, কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে মোটেও নয়। ম্যাচে বোলিং চেঞ্জ, ঝুঁকি নেয়ার মানসিকতা, ষষ্ঠ বোলারের ব্যবহার, আউট অব দ্য বক্স চিন্তা, এসব কিছুই করছে না বাবর। সেরা দলগুলো যে ব্রান্ডের ক্রিকেট খেলছে, তা খেলা-তো পরের কথা সেটার চেষ্টাও করছি না আমরা।

পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে সবসময় প্রশ্ন ওঠে। বর্তমান দলটির লম্বা সময় ধরে কোনো ফিটনেস টেস্ট নেয়া হয় না। যার প্রভাব পড়ছে পারফরম্যান্সে। বিশেষ করে ফিল্ডিং দৃষ্টিকটু হয়ে উঠছে প্রতি ম্যাচেই। আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া দুই ম্যাচেই তিন থেকে চারটি করে ক্যাচ ফেলেছে পাকিস্তান। প্রথম তিন ম্যাচেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

যে বিষয়টি নিয়ে বাবর আজমের একহাত নিলেন পাকিস্তানি কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম। তিনি বলেন, খেলোয়াড়দের ফিল্ডিং ও ফিটনেস দেখুন। এই খেলোয়াড়েরা গত দুই বছরের মধ্যে কোনো ফিটনেস পরীক্ষার মধ্যদিয়ে যায়নি। এখন আমি নাম ধরে বললে তারা অখুশি হবে। দেখে তো মনে হচ্ছে, তারা প্রতিদিন আট কেজি করে গোশত খায়, নেহারি খায়। তাদের পেশাদারিত্ব কোথায়?

পারফর্ম, ফিটনেসের ইস্যুর পাশাপাশি ক্রিকেট বোর্ডে বারবার রদবদলও দলটির পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন ওয়াসিম আকরাম।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা চলছে। কিছুদিন পরপর চেয়ারম্যান পবির্তন হচ্ছে। নতুন দায়িত্ব নিয়ে কোচিং স্টাফে পরিবর্তন আসছে। এই যেমন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলকে ফাইনালে নিয়ে গিয়েও ছাঁটাই করা হয়েছে সাকলায়েন মোস্তাক ও মোহাম্মদ ইউসুফকে। সবার আগে স্থিতিশীলতা আনতে হবে পিসিবিতে।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply