বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে বিধ্বস্ত করে ৩০৯ রানের জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সেই সাথে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়লো অজিরা। আগে ব্যাট করতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরির পর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের রেকর্ড সেঞ্চুরিতে ৩৯৯ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া। লক্ষ্য তারা করতে নেমে অ্যাডাম জাম্পার স্পিন ঘূর্ণিতে ২৯ ওভার বাকি থাকতে মাত্র ৯০ রানে গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। চলতি আসরে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে প্যাট কামিন্সের দল।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ৪০০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে ভালো শুরুর আভাস দেন ডাচদের দুই ওপেনার ম্যাক্স ও’দাউদ এবং বিক্রমজিৎ সিং। তবে তাদের জুটি বড় হতে দেননি মিচেল স্টার্ক। বাঁহাতি এই পেসারের গুড লেন্থের ডেলিভারিতে বোল্ড হন ৬ রান করা ও’দাউদ। আরেক ওপেনার বিক্রমজিৎও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দারুণ ব্যাটিং করা বিক্রমজিৎ ২৫ রান করে ফেরেন রান আউটে কাটা পড়ে।
তারা দু’জন ফেরার পর কেউই সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। একে একে বিদায় নেন কলিন অ্যাকারম্যান, বাস ডি লিড, তেজা নিদামানুরু, লোগান ভ্যান বিকরা। শেষ দিকে অ্যাডাম জাম্পার স্পিন ঘূর্ণিতে নেদারল্যান্ডস থামে ৯০ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করেন অ্যাডাম জাম্পা। মিচেল মার্শ নেন ২টি উইকেট। এছাড়াও ১টি করে উইকেট পান মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজেলউড।
এর আগে, টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ দশমিক ৫ ওভারে ২৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরিয়ান অজি ওপেনার মিশেল মার্শ ব্যাক্তিগত ৯ রানে সাজঘরে ফেরেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৩২ রানের জুটি গড়েন ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথ। ক্যারিয়ারের ৩১তম ফিফটি তুলে ৬৮ বলে ৭১ রানে আউট হন অজি ব্যাটার। ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে নিজের ইনিংস সাজান স্মিথ। মারনাস লাবুশানে ৪৬ বলে ৭টি চার ও ২টি ছয়ে অষ্টম ফিফটিতে ৬২ রানে বিদায় নেন।
তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ক্যারিয়ারের ২২তম শতক তুলে নেন ওপেনার ওয়ার্নার। সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এ বাঁহাতি ব্যাটার। ৯৩ বলে ১১টি চার আর ৩টি ছক্কায় ১০৪ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন তিনি। এর আগে অবশ্য ১২ বলে ১৪ রান করা জস ইংলিসকে ফেরান ডি লিড।
শেষ ১২ ওভারে চার-ছক্কার ঝড়ে অস্ট্রেলিয়াকে একাই চারশ’র কাছাকাছি নিয়ে যান ম্যাক্সওয়েল। এর মধ্যে প্রথম ২০ বলে ৩৪ রান করেন তিনি। ৪, ৪, ৬, ৬, ৬… ৪৯তম ওভারে বাস ডি লিডের প্রথম পাঁচ বলে ২৬ রান তুলে ইতিহাস গড়েন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এইডেন মার্করামের করা ৪৯ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ডটি ৯ বল কম খেলেই ভেঙে দেন অজি অলরাউন্ডার। তিন অঙ্কের মাইলফলকে পৌঁছাতে খেলেছেন মাত্র ৪০ বল। শেষ ওভারে ফেরার আগে ৪৪ বলে নয়টি চার ও ৮টি ছক্কায় ১০৬ রান করেন তিনি। প্যাট কামিন্স ৯ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন।
/আরআইএম
Leave a reply