তাহমিদ অমিত:
অস্ট্রেলিয়া-ভারত গা ছমছমে টেস্ট, লক্ষণ-দ্রাবিড়ের অবিশ্বাস্য যুগলবন্দী, জগমোহন ডালমিয়ার স্মৃতি মাখা, সৌরভ গাঙ্গুলির ব্যাট হাতে ছবি আঁকা, হারভাজনের হ্যাটট্রিক আর রোহিত শর্মার ইতিহাস গড়া ২৬৪, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্রাফেটের চার ছক্কা; কতো শত রোমাঞ্চকর ম্যাচ আর হাসি-কান্নার অদ্ভুত মিশেল! এমন আরও বাঁকবদলের সাক্ষী আর চিত্রনাট্যের মঞ্চ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ইডেন গার্ডেন।
চাঁদের যেমন কলঙ্ক আছে, আছে নন্দন কাননেরও। এই মাঠ দেখেছে দর্শকদের রেষারেষি থেকে দাঙ্গা। সাক্ষী হয়েছে প্রাণ হারানোর ঘটনারও। বোতল বৃষ্টিতে থমকে যাওয়া ছিয়ানব্বইয়ে ভারত-শ্রীলঙ্কা সেমিফাইনাল তো ইতিহাস হয়েই আছে! তবে সব ছাপিয়ে ১৯৮০ সালের মোহনবাগান আর ইস্ট বেঙ্গল ম্যাচে পদদলিত হয়ে ১৬ দর্শকের মর্মান্তিক মৃত্যু ইডেনকে কলঙ্কিত করেছে।
কলকাতার প্রতিটা স্থাপত্যের মতোই দীর্ঘ এক ইতিহাস আছে ইডেন গার্ডেনের। একটা বাগান কী করে বদলে গেল স্টেডিয়ামে, গল্পটা হয়তো অনেকেরই অজানা। সেই গল্প নাহয় আরেকদিন হবে!
ভারতীয় উপমহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর স্টেডিয়াম ইডেন গার্ডেন। যার তুলনা চলে কেবল লর্ডস-মেলবোর্নের মতো ক্রিকেটের তীর্থস্থানের সাথে। ১৮৬৪ সালে নির্মিত হওয়ায় এটিই ভারতের সবচেয়ে পুরনো স্টেডিয়াম। একটা সময় লক্ষাধিক মানুষ এখানে একসাথে গর্জে উঠতো সমস্বরে। যদিও এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজারে। সেখানেই বিশ্বকাপের দুই ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ (২৮ অক্টোবর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এবং ৩১ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে)।
ভারতের স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে এই ভেন্যুতেই সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলা হয়েছে। সাদা পোষাকের এই ফরম্যাট রঙিন হয়ে আছে ভারত-বাংলাদেশের গোলাপি বলের লড়াইয়ে। জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে বছর চারেক আগে এই ইডেনেই গড়ায় উপমহাদেশের প্রথম ডে-নাইট টেস্ট।
/এএম
Leave a reply