হামাসকে নির্মূলের টার্গেটে অবরুদ্ধ গাজায় বৃহৎ পরিসরে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল সেনাবাহিনী। এর মধ্য দিয়ে চলমান সংঘাত দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশের কথা নিশ্চিতও করেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। কিন্তু কী হতে যাচ্ছে এই অভিযানের পরিণতি? তেল আবিবের লক্ষ্য অর্জন, নাকি হামাসের কৌশলগত বিজয়; তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে বিশ্বের অন্যতম সামরিক শক্তিধর দেশটির এই স্থল আগ্রাসন মোটেই একপাক্ষিক হচ্ছে না। একাধিক এলাকায় হামাসের পক্ষ থেকে পাল্টা প্রতিরোধের কথা স্বীকারও করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। রকেট ছুঁড়ে হামাস যোদ্ধারা ধ্বংস করছে দখলদারদের ট্যাংক।
গাজায় হামাসের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা দুর্ভেদ্য ভূগর্ভস্থ টানেল। ফলে রকেট হামলা কিংবা পদাতিক বাহিনীর আগ্রাসন হামাসকে মোকাবেলায় খুব বেশি উপকারে আসছে না। তাই অসম শক্তির লড়াই হলেও যুদ্ধে ইসরায়েলের লক্ষ্য অর্জন কোনোভাবেই সহজ হবে না।
চলমান সংঘাত ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থল অভিযানের এ সিদ্ধান্তকে বড় ভুল হিসেবেও আখ্যা দিচ্ছেন অনেক বিশ্লেষক। বলছেন, এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘমেয়াদে ইসরায়েলে নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেললো নেতানিয়াহু প্রশাসন। যা নাইন ইলেভেন মতো পরিণতি বয়ে আনতে পারে বলেও শঙ্কা তাদের।
বলা হচ্ছে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির নিখুঁত রণপরিকল্পনা আর জোরালো শক্তিমত্তা দৃশ্যপটে আমূল পরিবর্তন এনেছে। তাই গাজায় স্থল অভিযানে হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল সম্ভব হবে না বলেই দাবি ক্রমশ জোরলো হচ্ছে।
/এএম
Leave a reply