‘বিশ্বকাপে ব্যাটিং ব্যর্থতার পাশাপাশি মাঝের ওভারগুলোতে ভুগিয়েছে’

|

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব‍্যাটিং ব‍্যর্থতা মোটা দাগে চোখে পড়লেও, নির্বাচক হাবিবুল বাশার বলছেন মিডল ওভারে বোলিংটাও খুব ভুগিয়েছে টাইগারদেরকে। পরবর্তিতে যে কোনো বড় ইভেন্টের আগে মাঠের পাশাপাশি মানসিকভাবে ক্রিকেটারদের প্রস্তুত করাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বাশার।

কলকাতায় দুই ম্যাচ ও সব মিলিয়ে টানা ৬ ম্যাচ হারার পর অবশেষে দিল্লিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের মুখ দেখেছে বাংলাদেশ। তাতে একটু স্বস্তি ফিরেছে দলে। কিন্তু মূল স্বপ্ন তো দুমড়েমুচড়ে গেছে বেশ আগেই। সেই হতাশা হাবিবুলেরও সঙ্গী। পুনের টিম হোটেলে বুধবার (৮ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অকপটেই তা বললেন এই নির্বাচক।

হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, আমরা সবাই দেখেছি বিশ্বকাপ কেমন কেটেছে আমাদের। নিশ্চিতভাবেই হতাশার। আমরা অনেক আশা করে এসেছিলাম। প্রত্যাশাও অনেক বেশি ছিল। সেটা কোনোভাবেই আমরা পূরণ করতে পারিনি। এই বিশ্বকাপের আগে আমাদের দলটা যেমন ফর্মে ছিল, পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে আমরা যতটা ধারাবাহিক, খুব ভালো খেলছিলাম, সেজন্য প্রত্যাশা একটু বেশি ছিল। আমরা প্রত্যাশা মেটাতে পারিনি। আরও ভালো হওয়া উচিত ছিল। এটা হয়ে থাকে। অনেক সময় আপনি ফর্মে এসে টুর্নামেন্টে ফর্ম হারিয়ে ফেলতে পারেন। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে আসলে।

অনেক প্রত‍্যাশা আর সম্ভাবনা নিয়ে বিশ্ব মঞ্চে এসে বাংলাদেশ দল হতাশা করেছে সবাইকে। কিন্তু কেন ব‍্যর্থ হলো টাইগাররা? মাঠের লড়াইয়ের হিসেব ছাপিয়ে আরও এক জায়গায় দুর্বলতা দেখছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে আসার আগে আমাদেরকে মানসিক শক্তি নিয়ে বেশি কাজ করা উচিত। স্কিলের দিক থেকে আমরা আগে যা ছিলাম, এখন তাই আছি। বিশ্বকাপে বাকি দলগুলো অনেক প্রস্তুতি নিয়ে আসে। আমরাও অনেক প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিলাম। কিন্ত এখানে শক্ত মানসিকতার একটা ব্যাপার থাকে। এরপর এই ধরনের টুর্নামেন্টে আসার আগে আমাদের মেন্টাল স্কিল নিয়ে কাজ করতে হবে।

ক্রিকেটারদের মাঠের পারফরমেন্সও ছিলো হতাশার। সবচেয়ে দৃষ্টি কটু ছিলো ব‍্যাটারদের পারফরমেন্স। তবে বাশার বলছেন ঘাড়তি আছে সব ডিপার্টমেন্টেই। বিশেষ করে মিডল ওভার বোলিংয়ের সমস‍্যার কথা বলেছেন এই নির্বাচক। তিনি বলেন, সত্যি কথা বলতে আমাদের সব বিভাগে কাজ করতে হবে। টপ অর্ডার ব্যাটিং, ফিনিশিং, আমাদের বোলিং…। বিশেষ করে মাঝের ওভারগুলোয় বোলারদের উইকেট নেয়ার সামর্থ্যটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখন যে ধরনের ক্রিকেট হয়, আপনি যদি মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট না নিতে পারেন, তাহলে বড় রান আটকাতে পারবেন না। আমরা এই বিশ্বকাপে সেটাতে বেশ ভুগেছি।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষ জয়ের পর বিশ্বকাপ বাংলাদেশের শেষ ম‍্যাচ মাইটি অজিদের বিপক্ষে। গেল ম‍্যাচ এক ম‍্যাক্সওয়েল একাই ডাবল সেঞ্চুরি করে বধ করেছেন আফগানদের। মরার উপর খড়ার ঘা সাকিব আল হাসানের ইনজুির। পুনের ছোট মাঠে তাই অস্ট্রেলিয়ার ব‍্যাটারদের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশি বোলারদের। কিন্তু তারপরও ভালো কিছুর আশা করছেন বাশার।

এদিকে সন্তান সম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে দ্বিতীয় দফায় ঢাকা যাওয়া লিটস দাস পুনেতে দলের সাথে যোগ দেয়ার কথা বৃহস্পতিবার।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply