গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে সরে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা, চিরতরে ভিটে-মাটি হারানোর শঙ্কা

|

ইসরায়েলি বাহিনীর তুমুল হামলার মধ্যেও ভিটে-মাটি ছাড়তে চাইছিলেন না গাজাবাসী। তবে উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে হামলা এতোটাই জোরালো হয়েছে যে, বাধ্য হয়ে তাদের সরে যেতে হচ্ছে দক্ষিণ দিকে। ছেড়ে আসা ভিটে-মাটিতে আর কোনোদিন ফিরতে পারবেন কিনা জানেন না তারা। হাজারো স্মৃতি বিজড়িত নিজ বসতভিটা হারানোর কষ্ট নিয়েই তারা ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। খবর আল জাজিরার।

বেসামরিকদের সরে যাওয়ার জন্য ইসরায়েলের বেধে দেয়া সময়ে উত্তর গাজার অনেক বাসিন্দাই ঘর-বাড়ি ছেড়ে ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। জ্বালানির অভাবে এখন যানবাহন পাওয়া যাচ্ছে না গাজায়। তাই পায়ে হেঁটেই পাড়ি দিতে হচ্ছে কয়েক কিলোমিটার পথ। ইসরায়েলি বাহিনীর অনুমতি না থাকায় কেউই সাথে পানি কিংবা খাবার নিতে পারেননি।

নিজ ঘর-বাড়ি ফেলে নিরাপদ স্থানে ছুটতে থাকা এক ফিলিস্তিনি বলেন, কোনো গাড়ি-ঘোড়া নেই এখন। প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে হাঁটছি। প্রচণ্ড ক্ষুধা আর পানি পিপাসা পেয়েছে। কিন্তু ইহুদিরা বলেছে সাথে কিছু নেয়া যাবে না। তাই পানি বা খাবারও নিতে পারিনি সাথে।

একদিকে জীবন বাঁচানোর তাগিদ, আরেকদিকে ভিটে-মাটি হারানোর কষ্ট। অসহায় এসব মানুষ বলছেন, আর কখনও নিজ বাড়িতে ফিরতে পারবেন কিনা জানা নেই। তাদের দাবি, ভিটে-মাটি দখল করার পরিকল্পনা করেই তাদের উৎখাত করছে দখলদার বাহিনীরা। এটা দ্বিতীয় নাকবা ছাড়া আর কিছু নয় বলেও ক্ষোভ অসহায় ফিলিস্তিনিদের।

গত দুই সপ্তাহ ধরে আলোচনার পর গাজায় দৈনিক ৪ ঘণ্টার ‘সামরিক অস্ত্রবিরতিতে’ রাজি হয়েছে ইসরায়েল। ফলে এই ৪ ঘণ্টায় গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে গাজাবাসীদের।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply