গাজা আগ্রাসনের নীরব প্রতিবাদ, বড়দিনে অনাড়ম্বর থাকবে যীশুর জন্মস্থান বেথলেহাম

|

দিন ঘনিয়ে আসলেও এবার বড়দিনের কোনো আমেজ নেই যীশুর জন্মস্থান বেথলেহামে। এবছর উল্লেখযোগ্য কোনো আয়োজন হবে না সেখানে, থাকবে না বড়দিনের সজ্জার আইকনিক ক্রিসমাস ট্রি কিংবা আলোর রোশনাই। গাজার নিরীহ মানুষের সাথে একাত্মতা প্রকাশে অনাড়ম্বরেই নিজেদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করবে ফিলিস্তিনি বংশদ্ভূত এসব খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। খবর আল জাজিরার।

বিগত বছরগুলোতে এই সময়েই বেথলেহাম শহরটিতে আসতে শুরু করেন পর্যটকরা। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেথলেহামে জড়ো হন পাদ্রী ও গীর্জার নেতারা। এই সময়েই তারা প্রাক-বড়দিন আবির্ভাব মৌসুমের উদ্বোধন করেন। তবে এখন বলতে গেলে সম্পূর্ণই ফাঁকা আলোচিত এই শহর।

ধর্মীয় গুরুত্বের কারণে বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে আলাদা আবেদন রয়েছে বেথলেহাম শহরের। অধিকৃত পশ্চিম তীরে জেরুজালেমের প্রতিবেশী এই বেথলেহাম। গত কয়েক বছর ধরে ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকার হয়েছে এই শহরও। বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে এখানকার বাসিন্দাদের।

চলমান সংঘাতে গাজায় আটকা পড়েছেন বেথলেহামের অনেকে। তাছাড়া দেড় মাসের বিরতিহীন সংঘাতে গাজার মানুষদের সাথে ঘটে যাওয়া মানবিক বিপর্যয়েও ম্লান হয়ে গেছে বড়দিনের আনন্দ। তাই অন্যান্য বছরের মতো নেই জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন।

এ নিয়ে শহরের সিনিয়র ফ্রান্সিসকান ফাদার ইব্রাহিম ফালতাস বলেন, ডিসেম্বরের শুরু থেকেই শহরটা আনন্দে ঝলমল করে। তবে এবার সবখানে যেনো বিষাদ ভর করেছে। কোভিডের সময়ও শহরটা এতো ফাঁকা ছিল না। মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে হাজার হাজার নিরীহ নারী, শিশু, বৃদ্ধকে হত্যা করা হচ্ছে। আমরা কীভাবে আনন্দ করি?

তবে দ্রুতই এ সংঘাতের শেষ হবে বলে আশাবাদী সকলে। যুদ্ধ ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবে পৃথিবীর সব মানুষ। যীশুর জন্মদিনে এমনটাই প্রার্থনা সবার।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply