আবারও ভোটযুদ্ধে পুতিন, তার ওপরই আস্থা বেশিরভাগ রাশিয়ানের

|

রুশ-ইউক্রোন যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যেই রাশিয়ায় চলছে নির্বাচনের তোড়জোড়। ২০২৪ সালের মার্চে দেশটিতে অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই নির্বাচনে আবারও লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

শুরুতে ভোটের লড়াইয়ে অংশ নিবেন না জানালেও শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শামিল হয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। ভোটে পুতিনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তার বিজয় অনেকটাই নিশ্চিত বলা যায়। এছাড়া, বেশ কয়েকটি জরিপে দেখা গেছে, দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষ এখনও ৭১ বছর বয়সী পুতিনের ওপরই আস্থা রাখতে চান।

ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেয়া সেনাদের জাতীয় সর্বোচ্চ সামরিক পদক প্রদানে গতকাল শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) মস্কোয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে নিজেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন প্রভাবশালী এ বিশ্বনেতা। খবর রয়টার্সের।

ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, শুরুতে অন্যভাবে চিন্তা করছিলাম। তবে, সবকিছু পুনরায় বিবেচনা করে আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের নির্বাচনে খুব কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হবে না পুতিনকে। তার বিপক্ষে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ভোটযুদ্ধে সহজেই পুতিন জয় পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে জনপ্রিয়তায় তার ধারে-কাছেও নেই কেউ।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির অন্যতম শীর্ষ এজেন্ট ছিলেন পুতিন। ১৯৯৪ সালে রাজনীতিতে আসার পর থেকেই বাড়ছে তার জনপ্রিয়তা। নানা কারণে বিতর্কিত হলেও এখনও দেশের ৮০ শতাংশ নাগরিক পুতিনকেই ক্ষমতায় দেখতে চায়।

রাশিয়ার এক বয়স্ক লোক বললেন, আমি মনে করি না প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য পুতিনের চেয়ে ভালো কেউ আছে রাশিয়ায়। অন্য কাউকে প্রসিডেন্ট হিসেবে কল্পনাও করতে পারি না। চোখ বন্ধ করে পুতিনকে ভোট দেবো।

দেশটির আরেক তরুণ বলেন, যদিও নানা বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে, তবুও আমি চাই পুতিনই আবার ক্ষমতায় আসুক। লোকটির বয়স হয়ে গেছে, তবে সে এখনও যথেষ্ট কর্মক্ষম। রাশিয়ার পুতিনকেই দরকার।

এ পর্যন্ত ৪ দফায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন পুতিন। ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পরপর দুবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। তৎকালীন রুশ আইনে পরপর দুবারের বেশি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় থাকার অনুমতি না থাকায় ২০০৮ সালে তার অনুগত দিমিত্রি মেদভেদেভকে প্রেসিডেন্ট পদে বসিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন পুতিন।

২০১২ সালের নির্বাচনে আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এই নেতা। ক্ষমতায় বসেই প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ৪ বছর থেকে বাড়িয়ে করেন ৬ বছর। পরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০২১ সালে আইনে আবারও সংশোধন আনেন তিনি। এবার প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় থাকার সময়সীমাই তুলে নেন। এই মুহূর্তে রাশিয়ায় একটানা সবচেয়ে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকার রেকর্ডটি তার দখলেই।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply