ইতিহাস ভেঙে ইতিহাস গড়া। ক্রিকেটের মঞ্চ মানেই নতুন কিছু সৃষ্টি। অনন্য এক রেকর্ডের হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। এক বর্ষপঞ্জিকায় ম্যাচের অর্ধশতক পূরণ করার পথে বাংলাদেশ।
তেইশের শুরুটা ঢিলে-ঢালা ভাবেই শুরু বাংলাদেশের, প্রথম দুই মাসে কোনো আর্ন্তজাতিক ম্যাচই খেলেনি টাইগাররা। এরপর ব্যস্ততা আর পিছু ছাড়েনি। মার্চের ১ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে শুরু হওয়া ব্যস্ততা, শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে। ওই ম্যাচ দিয়েই বিশেষ এক মাইলফলক ছোঁবে টাইগাররা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের ৩৭ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার পূরণ হবে এক বছরে ৫০ ম্যাচ খেলার মাইলফলক, যা হবে মূলত ১০ মাসের মধ্যে।
এ বছর তিন সংস্করণ মিলিয়ে শান্ত-মিরাজরা ম্যাচ খেলেছে ৪৭টি। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২১ ও ২২ সালে সর্বোচ্চ ৪৬টি ম্যাচ খেলেছিল তারা। কিন্তু সর্বোচ্চ ২০ জয় ছিল ২০২১ সালে, এবার ইতিহাস পালটে দিয়ে নতুন করে রেকর্ডবুকে নাম লিখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
অবশ্য বছরে ৫০ ম্যাচ খেলার ঘটনা বেড়েছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আগমনে। বছরে ৫০ ম্যাচ খেলার ২৭ ঘটনার ২০টিই ২০০৫ সালের পরের। ২০২২ সালে ৫০ এর বেশি ম্যাচ খেলে তিনটি দল। এ বছরও ভারত ও নিউজিল্যান্ডের সাথে ম্যাচ খেলার হাফ সেঞ্চুরি পূরণের পথে বাংলাদেশ।
এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডটা ভারতের দখলে। ২০২২ সালে ৭১টি ম্যাচ খেলে রোহিত-কোহলির দল। ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার খেলা ৬১ ম্যাচের রেকর্ড ভেঙ্গে এই রেকর্ডের সিংহাসনে বসে ভারত।
এবছর মাত্র ৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে টি-টোয়েন্টির সংখ্যা দাঁড়াবে ১৪টি, বিশ্বকাপের বছরে বাকি ৩২টিই ওয়ানডে ম্যাচ। এখন পর্যন্ত খেলা ৪৭ ম্যাচের মধ্যে ২৩টি জিতেছে টাইগাররা। এরমাঝে রয়েছে ৩টি টেস্ট জয়, ১১টি ওয়ানডে জয় আর টি-টোয়েন্টিতে ৯ জয়।
/আরআইএম
Leave a reply