কুমিল্লা বিপিএলে আর নাও থাকতে পারে: নাফিসা

|

ছবি: সংগৃহীত

আগামী মৌসুমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নাও থাকতে পারে বিপিএলে। দেশের সবচেয়ে জাঁকালো এই আসরে টিকে থাকতে দলগুলোকে বিপিএলের লভ্যাংশ দেবার দাবি আবারো জানিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চেয়ারপার্সন নাফিসা কামাল। তবে সবার আগে ফ্রাঞ্চাইজিদের সাথে বিসিবির বৈঠক করা উচিত বলছেন এই সংগঠক।

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে নাফিসা তুলে ধরেন বিপিএলের কয়েকটি দিক। তিনি বলেন, সাকিব-মাস্কো একাডেমিতে অনুশীলন করতে হচ্ছে। কারণ এটা আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য সুবিধা, দূরত্ব ও যোগাযোগের দিক থেকে। আমাদের কোচও সেখানেই বেজড। কুমিল্লায় যেতে হলে সমস্যা হচ্ছে, সেখানে যোগাযোগ এখনো উন্নত হয়নি। যে কারণে সেখানে আমরা এখনো বিপিএলের ম্যাচও করতে পারছি না।

তিনি বলেন, আমাদের স্টেডিয়ামের অনুমোদন হয়ে গেছে এবং আমরা আশা করছি যে, আগামী বিপিএলে কুমিল্লা স্টেডিয়ামে ম্যাচ হবে। সেটার দায়িত্ব পুরোপরি আমাদের এবং আমরা কাজ করছি এটা নিয়ে। জায়গা, এলাকা, স্টেডিয়ামের অবকাঠামো, স্থাপত্য পরিকল্পনা – সব কিছু পাস হয়েছে। কিন্তু যোগাযোগ এখনো উন্নত নয়। একদম নতুন স্টেডিয়াম হবে এটি, ৩০ হাজার ধারণক্ষমতার। সদর দক্ষিণে এই স্টেডিয়ামটা হবে। এটা পাস করে গেছেন রাসেল ভাই (জাহিদ আহসান রাসেল), আগে যিনি মন্ত্রী ছিলেন। এখন পাপন ভাইকে (নতুন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী) নতুন করে অ্যাপ্রোচ করব। যাতায়াত একটা সমস্যা, যেহেতু এয়ারপোর্ট নেই। তবে স্টেডিয়ামের কাজ শুরু হয়ে গেলে বাকিগুলোও হয়ে যাবে। এটা আমাদের দায়িত্ব, আমাদের পরিবারের দায়িত্ব। আমরা এটার ব্যবস্থা করব।

অন্যান্য ফ্রাঞ্চাইজিদের তুলনায় প্রতি বছর বেশি টাকা খরচ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জবাবে নাফিসা বলেন, শুধু ভালোবাসা থেকে এটা সম্ভবই নয়। এটা আপনারা সবসময় বলেন যে, ‘আউট অব লাভ’ আমরা করছি। ভালোবাসার জায়গা থেকে আমরা করছি কাজটুকু… অনেক বেশি পরিশ্রম করছি, চেষ্টা করছি। যেটা বাকি দলগুলো করছে না। কিন্তু স্পন্সর তো আমাদের পেতে হয়, আর্থিক দিকগুলো ঠিক রাখতে হয়। আমাদের টাকাটা তো আনতে হবে। নিজেদের পকেট থেকে তো পুরো বিপিএল চালাতে পারব না। এটা খুব মিথ্যা হবে যদি আমি বলি যে, আমাদের পকেট থেকে পুরো বিপিএল চালাচ্ছি। এটা সম্ভবই নয়।

বিপিএল শেষ হওয়ার পর যখন হিসাব করি, স্পনসর থেকে যে টাকাটা আসে আর আমি যে খরচটা করি, খুব ভালো হয় যদি দুটি মিলে যায়, সমান সমান যদি হয়। ব্যালেন্স ইজ ইকুয়াল। মাঝে-মধ্যে আমরা একটু বেশি দিই, কিন্তু অতটা বেশিও নয়।

আমাদের দলটা কিন্তু অনেক বেশি গোছানো ও পেশাদার। স্পন্সরদের সঙ্গে আমরা কাজ করি… আজকে আমি তিনটা স্পন্সরের সঙ্গে মিটিং করে আসলাম। আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজি চালাই… ইটস আ মার্কেটিং টুল, একটা ব্র্যান্ডিং… ওদের টাকাটা কীভাবে এখানে বিনিয়োগ হবে এবং আমরা কীভাবে ওদের রিটার্ন দেব।

৫৪ দেশে বিপিএল দেখানো হয়। সব দেশে ওই স্পনসরের মিডিয়া কাভারেজ হয়। আমাদের একটা ফ্র্যাঞ্চাইজিও বিপিএলে এভাবে কাজ করে না। এমনকি বিসিবিও স্পন্সর পায় না। আমি বিসিবির কয়েকজনকে অ্যাপ্রোচ করেছি… আমি একটা স্পনসর পেয়েছি ভারত থেকে, তারা আমাদের স্পনসর করতে চায়। আমি বলেছি, যদি আমাদেরটা সফল হয়, তা হলে তা বিসিবিকেও ‘পাস অন’ করতে পারব।

যেটা বলতে চাচ্ছি যে, আমরা স্পন্সরদের কাছ থেকে সাড়া পাই। কারণ আমরা পেশাদারভাবে কাজ করি। আমাদের দলে বিনিয়োগ করে স্পন্সর সেই মূল্যটা পাবে বা পায়, প্রতিদিন পাচ্ছে। আমাদের দল কিন্তু আমাদের পকেট থেকে হচ্ছে না, পুরো স্পন্সর-বেজড।  সামনে যদি স্পন্সর না পাই, তা হলে বিপিএল করব না। কারণ পকেট থেকে বিপিএল করার তো মানেই হয় না।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply