চুয়াডাঙ্গা করেসপনডেন্ট:
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীতে জবুথবু জনজীবন। তাপমাত্রা ওঠানামা করছে অস্বাভাবিকভাবে। শীতের তীব্রতার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ। ফলে হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর ভিড় বাড়ছে। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক-নার্সরা।
জেলার সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া, মেডিসিন ও শিশু ওয়ার্ডে ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। এসব রোগীদের মধ্যে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। অনেকেই বেড না পেয়ে মেঝেতে আশ্রয় নিয়েছেন।
এছাড়া, হাসপাতালের বহির্বিভাগেও রোগীদের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে তিনশত রোগী দেখছেন চিকিৎসকরা। এদের মধ্যে বয়স্করাও রয়েছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, বাচ্চাদের যেন ঘরের বাইরে নিয়ে যাওয়া না হয়। আর নিয়ে গেলেও পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়ে বাচ্চাদের পিতা-মাতাকে সতর্ক থাকতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আরএমও (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, হাসপাতালে স্যালাইনের সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যহত হচ্ছে। গড় দেড় মাস যাবৎ হাসপাতালে কলেরা স্যালাইনের সরবরাহ নেই। আমরা এটি সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে জেলা সদর হাসপাতালে এক হাজারেরও বেশি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
/আরএইচ
Leave a reply