বড় স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপ গিয়ে, ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করে দেশে ফিরে বাংলাদেশ। সেই ফেরার প্রায় তিন সপ্তাহ পর গঠন করা হয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংকস কমিটি। যেখানে দায়িত্ব পান বিসিবির তিন পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজ, মাহবুব আনাম ও আকরাম খান।
আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে লিটন-নাসুম থেকে শুরু করে চান্দিকা হাথুরুসিংহের সাথে বসেছিল সিরাজ-আকরামদের কমিটি। আশ্বাস দেয়া হয় দ্রুতই তদন্ত শেষ করার । কিন্তু ২৮ নভেম্বর গঠন করা কমিটি পূর্ণ করেছে দুই মাস। কতদূর গড়ালো তদন্ত?জবাবে আকরাম খান বলেন, ৯০ ভাগ কাজ মাসখানেক আগেই হয়ে গেছে। এরপর নিউজিল্যান্ড সফর ছিল, এখন বিপিএল চলছে। ২-১ জনের সাথে এখনও বসতে পারিনি।
আশ্চর্যের বিষয় এই দুই মাসেও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দেখা পায়নি কমিটি। বসার কথা ছিলো তামিম ইকবালের সাথেও। মূলত অধিনায়ক ইস্যুতে ভবিষ্যদের দিক নির্দেশনা দিতেই বসতে চাওয়া তামিমের সাথে। অবশেষে সেই দু’জনের সাথে দেখা করতে সিলেট যাচ্ছে কমিটি।
এ প্রসঙ্গে আকরাম খান বলেন, নির্বাচন নিয়ে অধিনায়কও ব্যস্ত ছিল। কাল তাদের সঙ্গে বসে মোটামুটি রিপোর্ট দিয়ে দেবো। বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক। এরপর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বোর্ডকে দিয়ে দেবো। সাকিব ছাড়াও আরও ২-১ জন বাকি আছে। কাল যাচ্ছি ওখানে এটার জন্য।
বোর্ড সভায় নির্ধারিত হবে তদন্তের রিপোর্ট জানালেন আকরাম, আমাদের শুধু বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স এনালাইসিস করতে দিয়েছে। কোনটা পজিটিভ, কোনটা নেগেটিভ। সেটাই আমরা দেবো। যেসব নেতিবাচক দিল ছিল তা যেন ভবিষ্যতে না হয়। ইতিবাচক দিকগুলোও বলব। এরপর বোর্ড সিদ্ধান্ত দেবে কীভাবে আমরা এগোবো।
কেন কোয়ালিটি ক্রিকেটোর উঠে আসছে না-সমস্যা ঘরোয়া ক্রিকেটে নাকি কাঠামোয়? ক্রিকেট সেই প্রশ্নের উত্তর কী লেখা হবে তদন্ত কমিটির খাতায়!
/আরআইএম
Leave a reply