ভারতের ওড়িষা ও অন্ধ্র প্রদেশে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় তিতলি। প্রাণহানি এড়াতে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ওড়িষার তিন লাখ বাসিন্দাকে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরে ওড়িষার গোপালপুর আর অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলামে আঘাত হানে ঝড়টি। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৬৫ কিলোমিটার। দু’রাজ্যে ঝড়ের তাণ্ডবে উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে কয়েকশ’ ঘরবাড়ি। বেশ কিছু জেলায় ভেঙে পড়েছে সড়ক আর রেল যোগাযোগও। এ অবস্থায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও, বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালত।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে আগামীকাল বিকেলে বাংলাদেশে আসতে পারে।
এর প্রভাবে খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও দেয়া হয়েছে। অবশ্য চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের উপকূলে বৃষ্টি হচ্ছে কয়েকদিন ধরেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি সভা করেছে জেলা প্রশাসন।
উপকূলে সকল মাছ ধরার ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রামে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আশপাশের স্কুলগুলোয় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সচেতনতা বাড়াতে এ বিষয়ে মাইকিং করা হয়েছে অনেক জায়গায়।
Leave a reply