বাড়ির ড্রইংরুম কিংবা কোনো রেস্তোরা নয়, ভূপৃষ্ট থেকে প্রায় ২ হাজার ৬শ ফুট নিচে চলছে ইফতার। কসোভোর একটি খনির অভ্যন্তরের দৃশ্য এটি। সময় হয়ে যাওয়ায় মাটির নিচের এই অফিসেই চলছে ইফতার গ্রহণ।
কসোভোর ট্রেপকা খনির ঘটনা এটি। দেশটির বড় খনিগুলোর মধ্যে অন্যতম এই এটি। প্রায় ৪ হাজার গভীর খনিটিতে ইফতারের সময় হলেই কর্মরত শ্রমিকেরা সেখানেই খাবার গ্রহণ করেন। এমিন হাসানি (শ্রমিক) বলেন, যখন মাটির এতটা নিচে আসি মনে হয় আল্লাহ যেন আমার খুব কাছেই আছেন। তখন নিজেকে আরও নিরাপদ মনে হয়।
এই ট্রেপকা খনি থেকে মুলত উত্তলোন করা হয় সীসা, রূপা এবং জিংক। বর্তমানে এখানে কর্মরত আছেন প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক। ঝুকি থাকা স্বত্ত্বেও খনিতে নির্বিঘ্নে কাজ করে চলেছেন এসব কর্মীরা। ফেহমি হাজরেদিনি (শ্রমিক) বলেন, যখন খনিতে প্রবেশ করি, একদম গভীরে চলে আসি তখন অনুভূতিটা অন্যরকম হয়। সব কিছু আল্লাহর ওপর ছেড়ে দেই।
খনিটি চালু করা হয় ১৯২০ সালে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীণ এই খনি কসোভোর অর্থনীতিতে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
/আরআইএম
Leave a reply