গোঁড়ালিতে পাওয়া চোটের তাসকিন আহমেদকে ছিটকে দিয়েছিল ২০১৯ বিশ্বকাপ থেকে। ফিট হয়ে উঠলেও ম্যাচ ফিটনেস নেই তাসকিনের, এমনটা জানিয়েছিলেন নির্বাচকরা। ডিপিএলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে খেলে পরীক্ষা দিলেও পাশ করতে পারেননি তিনি। যার ফলে তাকে ছাড়াই বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ।
এবারও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে হটাৎ করে চোটে পড়েন তাসকিন। টাইগার শিবিরে তখন দুশ্চিন্তার কালো মেঘ। দুদিন পিছিয়ে যায় টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণাও। অনিশ্চয়তা কাটিয়ে তাসকিনকে সহ-অধিনায়ক করে দেয়া হয় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল।
আগের ঘটনার মতো পরেরটাও তাসকিনের হৃদয়ে দাগ কেটেছে। বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে বিসিবির রেকর্ড করা এক ভিডিওতে তাসকিন বলেন, দলটা যখন পিছিয়েছে, একটা জিনিসই মনে পড়েছে যে, ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে মন খারাপ করে মিরপুর স্টেডিয়াম থেকে চলে গেছিলাম। আরেকটা বিশ্বকাপে (অপেক্ষায়) দল দিতে দুই দিন পিছিয়েছে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে এটা অনেক সম্মানের। চেষ্টা করবো এই সম্মানের মূল্য দেয়ার।
করোনার মধ্যে ফিটনেসের সঙ্গে স্কিল নিয়েও কাজ করে তাক লাগিয়ে দেন। এ প্রসঙ্গে তাসকিন বলেন, নিশ্চিতভাবেই (ফিরে আসা) এতো সহজ ছিল না। অনেক ঝুঁকি নিয়েছি। কারণ কোভিডের সময় ছিল। কঠোর অনুশীলন করেছি। ওই সময় অনেক মানুষ মারা গেছেন। আমি আসলে বাংলাদেশ দলে একটা ম্যাচ খেলার জন্য মরিয়া ছিলাম। কারণ সবাই বলছিল যে আমি শেষ হয়ে গিয়েছি। নিজের সাথে জেদ করে একটা ম্যাচ খেলতে চেয়েছিলাম। আমি আরেকটা বার হলেও লাল-সবুজ জার্সিটা পরবো। আল্লাহর রহমতে আপনাদের দোয়ায় ৩ বছর ধরে খেলছি। ইনশাআল্লাহ সামনে আরও খেলবো।
তাসকিন আরও যোগ করে বলেন, ফিরে আসার জন্য অনেক কষ্ট করেছি। ওই সময় কোভিড ছিল, অনেক কঠোর পরিশ্রম করেছি। শারীরিক ও মানসিক, সবদিক দিয়েই ফিট হওয়ার চেষ্টা করেছি। আগের থেকে একটু উন্নতি হয়েছে, তবে এখনো উন্নতির অনেক জায়গা আছে।
/আরআইএম
Leave a reply