পুরুষের অণ্ডকোষে মিলছে মাইক্রো প্লাস্টিক, উর্বরতার ঝুঁকিতে লাখো মানুষ

|

দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার এবার আমাদের শরীরে সরাসরি প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে বলে দাবি করেছে গবেষকরা। টক্সিকোলজিকাল জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণাপত্রে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ওই গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের

গবেষণাপত্রে বলা হয়, ২৩ জন মানুষ ও ৪৭টি পোষা কুকুরের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হয়। পরীক্ষায় প্রতিটি নমুনাতেই মাইক্রো প্ল্যাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

এ ক্ষেত্রে কুকুরের অণ্ডকোষের প্রতি গ্রাম টিস্যুতে যেখানে প্লাস্টিক পাওয়া গেছে ১২২.৬৩ মাইক্রোগ্রাম, সেখানে মানুষের অণ্ডকোষে পাওয়া গেছে ৩২৯.৪৪ মাইক্রোগ্রাম প্লাস্টিক।

যদিও পুরুের অণ্ডকোষ সংরক্ষিত অবস্থায় আছে। তাই তাদের শুক্রাণুর পরিমাণ এখনও পরিমাপ করা যায়নি। তবে কুকুরের অণ্ডকোষে অধিক পরিমাণে পিভিসির উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে এবং তাদের শুক্রাণুর পরিমাণও ছিল কম। এতে বোঝা যায় প্লাস্টিকের সাথে শুক্রাণু হ্রাসের সাথে প্লাস্টিকের সম্পর্ক রয়েছে। তবে বিষয়টি পুরপুরি প্রমাণে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

এ বিষয়ে নিউমেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জিয়াও ঝং বলেন, মাইক্রো প্লাস্টিক মানুষের প্রজননতন্ত্রে প্রবেশ করতে পারে কিনা আমার এটা নিয়ে সন্দেহ ছিল। কিন্তু যখন কুকুরের নমুনা পাওয়া গেল, এটা দেখে বেশ অবাক হয়েছি। এরপর মানুষের নমুনার ফলাফল আমাকে আরও অবাক করেছে। তিনি বলেন, পিভিসি প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক পদার্থ ছড়াতে পারে যা প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

রাসায়নিক দূষণের ফলে পুরুষের শুক্রাণুর পরিমাণ যুগের পর যুগ ধরে কমে আসছে। এমনটা বিভিন্ন গবেষণাপত্রে ইতোমধ্যেই দেখা গেছে। সম্প্রতি মায়ের দুধ থেকে শুরু করে মানুষের রক্তেও মাইক্রো প্লাস্টিক পাওয়া গেছে।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply