যুক্তরাষ্ট্রের ভাগ্যটা দারুণ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক এবং ২০ দলের বিশ্বকাপ হওয়ায় বৈশ্বিক এ টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ হয়েছে অ্যারন জোন্সদের। সুযোগ পেয়ে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিচ্ছে তারা সবুজ মাঠে। প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলতে নামা যুক্তরাষ্ট্র প্রথম ম্যাচে হারিয়েছে কানাডাকে। এরপর পাকিস্তানকে। টানা দুই জয়ে সুপার এইটে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলো তাদের।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সুপার ওভারে হারের পর পাকিস্তান যেন হতাশায় নিমজ্জিত এক দল। সামাজিকমাধ্যমে আলোচনা চলছে, পাকিস্তান ক্রিকেটে এটাই সবচেয়ে দুঃখের দিন কিনা! কেউ কেউ জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন। ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাবরের চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, ব্যাপারটা তিনিও এড়াতে পারছেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ‘ডালাস বিপর্যয়’ নিয়ে বাবর বলেছেন, দ্বিতীয় ইনিংসেও আমরা সাহায্য পেয়েছি। কিন্তু বোলিংয়ের দিক থেকে আমরা মানসম্পন্ন ছিলাম না। প্রথম ১০ ওভারে এটার ঘাটতি ছিল। আমরা এরপর ফিরে এসেছিলাম। কিন্তু ওরা তার আগেই ‘মোমেন্টাম’ পেয়েছে। তবে আমাদের বোলিং বিচারে পুঁজিটা (১৫৯ রান) ডিফেন্ড করা উচিত ছিল। আমাদের বোলিং বিচারে এই পিচে এটা ডিফেন্ড করার মতোই সংগ্রহ ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাবর, বোলিংয়ে আমরা এর চেয়ে ভালো। প্রথম ৬ ওভারে আমরা উইকেট নিতে পারিনি। মাঝের ওভারগুলোয় স্পিনারেরা উইকেট নিতে না পারলে আপনাকে চাপে পড়তে হবেই। ১০ ওভার পর আমরা ম্যাচে ফিরলেও সুপার ওভারে ওরা ম্যাচটা যেভাবে শেষ করেছে, তাতে কৃতিত্বটা যুক্তরাষ্ট্রকে দিতেই হবে।
সুপার ওভারে ১৮ রান গচ্চা দিয়েছেন পেসার মোহাম্মদ আমির। তিনটি ওয়াইডসহ ৭টি এক্সট্রাও ছিল। পাকিস্তানের অভিজ্ঞ এই পেসার প্রসঙ্গে বাবরের বক্তব্য, তিনি অভিজ্ঞ বোলার। তিনি জানেন, কীভাবে বোলিং করতে হয়। সে অনুযায়ীই ফিল্ডিং সাজানো হয়েছিল। কিন্তু আমার মনে হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটাররা বেশ স্মার্ট। বল উইকেটকিপারের হাতে থাকতেও তারা রানের জন্য দৌড়েছে। সুপার ওভারে এটা তাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট ছিল।
বাবর যোগ করেন– আমার মতে, পরিকল্পনাগুলো কাজে লাগানোর ব্যাপারে আমরা ভালো ছিলাম না। প্রস্তুতিতে আমরা ভালো করেছি। কিন্তু ম্যাচে দল হিসেবে পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারিনি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাতে ডালাসের গ্রান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করে বাবর-রিজওয়ানরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তোলে পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে ২০ ওভারে ১৫৯ রানে থামে যুক্তরাষ্ট্রও। সুপার ওভারে গড়ানো ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ইতিহাস গড়া জয় তুলে নেয় মোনাঙ্ক প্যাটেলরা।
/এএম
Leave a reply