২০২১ সালের পর ভারতের বিপক্ষে আরেকটি জয়ের স্বপ্ন দেখছিল পাকিস্তান। ভারতকে মাত্র ১১৯ রানে আটকে দেয়ার পর রান তাড়ায় একটা সময় ম্যাচ ছিল পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে। চতুর্দশ ওভার শেষে রান ছিল ৩ উইকেটে ৮০। শেষ ৩৬ বলে প্রয়োজন ছিল ৪০ রান। এরপরই পাকিস্তানি ব্যাটারদের ছন্দপতন ঘটে। ভারতের বিপক্ষে চাপহীন ওই সময়ে একজনও হাল ধরতে পারেননি; বরং আউট হয়েছেন দৃষ্টিকটুভাবে। অভিজ্ঞ ব্যাটারদের এমন ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম। রিজওয়ান, ফখরদের ম্যাচ পরিস্থিতি বুঝতে পারার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
রোববার (৯ জুন) নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচটি ৬ রানে হেরে যায় পাকিস্তান। বোলারদের চমৎকার পারফরম্যান্সের দিনে দলটির ব্যাটাররা হতাশ করেন। ভারতের ১১৯ রান তাড়ায় ১১৩ পর্যন্ত যেতে পারে বাবরবাহিনী।
প্রতি ওভারে মাত্র ৬ রান দরকার, এমন অবস্থাতে থেকে একটি দল কীভাবে হারে সেটাই মাথায় আসছে না আকরামের। বিশেষ করে টপ স্কোরার রিজওয়ানকে নিয়েই প্রশ্ন তার। ৪৪ বলে ৩১ রান করা একজন ব্যাটসম্যানের কাছে আরও ভালো কিছু আশা করেন আকরাম।
স্টার স্পোর্টসে আলাপকালে ওয়াসিম বলেন, কোনো ‘গেম ওয়ারনেস’ নেই রিজওয়ানের। তার মতে, বুমরাহর মতো বোলারকে ওই সময়ে এমন শট খেলে নির্বোধের মতো কাজ করেছে তার উত্তরসূরি।
আকরাম, ওরা ১০ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছে। আমি তো ওদের শেখাতে পারবো না। রিজওয়ানের মধ্যে কোনো গেম অ্যাওয়ারনেসই (ম্যাচ পরিস্থিতি বোঝা) নেই। তার জানার কথা বুমরাহর হাতে বল তুলে দেয়া হয়েছে উইকেটের জন্য। এ ক্ষেত্রে বুমরাহকে সতর্কতার সঙ্গে খেলাটাই হতো বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু রিজওয়ান বড় শট খেলতে গেল এবং আউটও হলো।
২৩ বলে ১৫ রান করা ইমাদ ওয়াসিমের ব্যাপারে কোনো শব্দ খরচের চেষ্টা করেননি আকরাম। তবে টানা দুই ম্যাচে ব্যর্থ ইফতিখার ও ফখরকে রীতিমতো অপমান করেছেন ওয়াসিম। তিনি বলেন, ইফতিখার শুধু লেগ সাইডে একটা শট খেলতে জানে। এত বছর ধরে দলের অংশ কিন্তু কীভাবে ব্যাট করতে হয় জানে না। ফখর জামানের ম্যাচ পরিস্থিতি বোঝার ক্ষমতা নিয়ে কিছু না বলি।
আকরাম কথা বলেছেন পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়দের মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিয়েও। বিশেষ করে বাবর আজম ও শাহিন আফ্রিদির মধ্যে নেতৃত্ব কেন্দ্র করে যে মানসিক লড়াইয়ের গুঞ্জন শোনা যায়, সেটিরই ইঙ্গিত উঠে এসেছে আকরামের কথায়। তিনি বলেন, খেলোয়াড়েরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলে না। এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, আর আপনি দেশের হয়ে খেলছেন। এ ধরনের খেলোয়াড়দের দেশে বসিয়ে রাখুন।
/আরআইএম
Leave a reply