বেশকিছু দিন ধরেই ব্যাটে দলের জন্য অবদান রাখতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। দলের বিপদে হাল ধরার চেয়ে উইকেট বিলিয়ে এসে আরও বিপদ বাড়িয়ে আসছেন বারবার। সবশেষ সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও ঠিক একই কাজ করেছেন। বল হাতে মাত্র এক ওভার হাত ঘোরালেও পরে আর বোলিংয়ে দেখা যায়নি সাকিবকে।
এরপর ব্যাটিংয়ে এসেও ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব। ২৯ রানে বাংলাদেশ দুই উইকেট হারানোর পর ব্যাটে এসেছিলেন সাকিব। আনরিখ নরকিয়ার শট বলে অযথাই পুল করে ছুঁড়ে দিয়ে আসেন উইকেট। এতে দলীয় ৩৭ রানেই তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সাকিব ফেরেন ৪ বলে ৩ রান করে।
সাকিবের এমন আউটের ঘটনায় কড়া সমালোচনা করেছেন ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ। সাকিবের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলে অবসরের পরামর্শও দিয়েছেন শেবাগ।
শেবাগ বলেছেন, গত বিশ্বকাপেই আমার এমন মনে হয়েছে, ওকে আর টি-টোয়েন্টিতে খেলানো উচিত নয়। অনেক আগেই ওর অবসর নেয়ার সময় হয়েছে। তুমি এত সিনিয়র ক্রিকেটার, নিজে অধিনায়ক ছিলে, তোমার পরিসংখ্যানের অবস্থা এমন, সাকিবের নিজেরই তো লজ্জা পাওয়া উচিত। নিজেরই বলা উচিত, আমি এই সংস্করণ থেকে অবসর নিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমি তো দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় বিশ্বকাপ, যেটা শ্রীলঙ্কায় হয়েছিল। তখন ডেল স্টেইন, মরনে মরকেল, আফগানিস্তানে একটা পেসার ছিল, স্বাচ্ছন্দ্যে আমি ওদের মারতে পারছি, তখনই নির্বাচকদের বলে দিয়েছিলাম, আমাকে যেন টি-টোয়েন্টি দলে রাখা না হয়। আমি ওয়ানডে ও টেস্ট খেলবো। দিন শেষে নিজে তো বোঝা যায় আমার ব্যাটিং ভালো হচ্ছে না, বোলিং ভালো হচ্ছে না, দলের জন্য অবদানই রাখতে পারছি না। তাহলে খেলে কী হবে? আমার হিসেবে তো ওর অবসরের সময় আগেই হয়েছে।
সাকিবের আউটের সমালোচনা করে শেবাগ বলেছেন, অভিজ্ঞ খেলোয়াড় বলেই যদি তাকে বিশ্বকাপে আনা হয়, তাহলে সেটা করে দেখাক। এই উইকেটে কিছু সময় তো দাও। তুমি অ্যাডাম গিলক্রিস্ট কিংবা ম্যাথু হেইডেন নও। তুমি বাংলাদেশের খেলোয়াড়। সেটা হিসাব করে খেলো। হুক-পুল তোমার শট নয়। তোমার যেটা শট, সেটা খেলো, অন্তত উইকেটে তো থাকো।
বিশ্বকাপের পর সাকিবকে আরে দলে দেখতে চান না শেবাগ। নির্বাচকদের কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত মন্তব্য করে বলেন, কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় নির্বাচকদের এসেছে। তরুণদের সুযোগ দিতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, যদি আপনি ফল না পান, তাহলে তরুণদের সুযোগ দিয়েই ম্যাচ হারুন। অন্তত তাতে ওদের অভিজ্ঞতা তো হবে। এরা তো তা থেকে কিছু শিখবে, সামনে অবদান রাখতে পারবে। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে কেনো নিয়ে আসা হয়-কারণ, সে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে। দলের পরিবেশ ঠিক রাখে, অভিজ্ঞতা দিয়ে রান করবে, উইকেট নেবে, ডট বল দেবে। সাকিব তো এসব কিছুই করতে পারছে না। আমার মনে হয় না এই বিশ্বকাপের পর ওর খেলা উচিত। কিংবা ওকে খেলানো উচিত।
/এনকে
Leave a reply