টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ রানের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জিততে জিততেও হৃদয়বিদারক পরাজয়ের গল্প লিখেছে টাইগাররা। ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর আম্পায়ারকে কাঠগড়ায় তুললেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়।
বাংলাদেশের ইনিংসের ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে প্রোটিয়া পেসার ওটনিল বার্টম্যানকে ফ্লিক করতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহর পায়ে লেগে বল চলে যায় বাউন্ডারির ওপারে। প্রোটিয়ারা আবেদন করলে ফিল্ড আম্পায়ার স্যাম নোগাস্কি আউট দিয়ে দেন। তবে খালি চোখেই বোঝা যায় যে, বলটি লেগ স্ট্যাম্প মিস করবে। রিভিউতে সিদ্ধান্ত বদল হলেও ডেডবল হয়ে যাওয়ায় যোগ হয়নি ওই চার রান।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য ওই চার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সরাসরিই আম্পায়ারের দিকে আঙুল তুলেছেন তাওহিদ হৃদয়। তিনি বলেন, সত্যি বলতে, ভালো সিদ্ধান্ত ছিল না। আঁটসাট ম্যাচে বিষয়টা আমাদের জন্য ভালো কিছু ছিল না। আমার মতে… আম্পায়ার আউট দিয়েছেন, তবে আমাদের জন্য কঠিন ছিল। ওই চারটি রান পেলে ম্যাচের চিত্র ভিন্ন হতে পারতো। আর কিছু বলার নেই।
১১৪ রান তাড়া করতে নেমে ১৭ ওভারে বাংলাদেশ করে ৪ উইকেটে ৯৪ রান। ১৮ তম ওভারের প্রথম বলে কাগিসো রাবাদাকে ফ্লিক করতে গেলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন হৃদয়। মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে এবারও যোগ হচ্ছে না তাঁর দৌড়ে নেয়া ১ রান। তবে রিভিউতে দেখা যায়, রাবাদার বল লেগ স্টাম্পে আঘাত হানলে আম্পায়ার্স কলে আউট হয়েছেন হৃদয়। ৩৪ বলে ৩৭ রান করেছেন হৃদয়।
আইসিসির এই নিয়ম নিয়ে কোন ক্ষোভ নেই, তবে তাওহিদ হৃদয় বললেন আম্পায়ারিংয়ের উন্নতির কথা। এ প্রসঙ্গে হৃদয় বলেন, নিয়ম তো… আইসিসি কী করেছে এটা তো আমার হাতে নেই। কিন্তু ঐ চারটা রান আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আম্পায়ারও মানুষ, ভুল হতেই পারে। কিন্তু আরও ২-১টা ওয়াইড দেয়নি। এমন ভেন্যুতে খেলা যেখানে রান হচ্ছে না, লো স্কোরিং ম্যাচ। সে জায়গায় ১-২ রান অনেক বড় ফ্যাক্ট। ঐ ৪ রান বা ২ ওয়াইড ক্লোজ কল ছিল। আমার আউটও আম্পায়ার্স কল ছিল। এই জায়গাগুলোতে উন্নতির জায়গা আছে। আইসিসির নিয়মে আমাদের হাত নেই।
/আরআইএম
Leave a reply