১৯৯৩ সালের পর আন্তর্জাতিক ট্রফি খরায় ভুগছিলো ম্যারাডোনার দেশ আর্জেন্টিনা। সেই দেশেই লিওনেল মেসি নামে এক জাদুকরের আবির্ভাব ঘটে। ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপে আলবিসেলেস্তেদের ডাগআউটেও দেখা গিয়েছিল ম্যারাডনাকে। মাঠে অধিনায়ক ছিলেন মেসি। সেবারও ছন্দপতন। আন্তর্জাতিক ট্রফি যেন ভুলতে বসেছিল আর্জেন্টিনা।
২০১৬ সাল পর্যন্ত ৪টি কোপা আমেরিকা ও ১টি বিশ্বকাপ ফাইনালে হারে তারা। তবে সেই আক্ষেপের অবসান ঘটে ২০২১ সালে। কোপা আমেরিকার ৪৭ তম আসরের ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে মেসির আর্জেন্টিনা। সেই রেশে ভর করে ফিফা বিশ্বকাপও জয় করে তারা। তবে অর্জনের চেয়ে নাকি ধরে রাখা বেশ কঠিন। এবার সেই বাস্তবতার মুখোমুখি আর্জেন্টাইন লেজেন্ড মেসি। দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের এই মুকুট ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ তাদের সামনে।
আর্জেন্টিনা অধিনায়ক বুঝতে পারছেন, কাজটা খুব কঠিন হবে। সাফল্যের জন্য নিজেদের উজাড় করে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিলেন এই মহাতারকা। কোপা আমেরিকা শুরুর আগে নিজেদের সবশেষ প্রীতি ম্যাচে গুয়াতেমালাকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা।
গুয়েতেমালার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসকে মেসি জানান, নিজেদের উজাড় করে দিতে তারা প্রস্তুত। তিনি বলেন, আমরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাব। আমরা এখনও শিরোপা জিততে চাই। দিন দিন কাজটা কঠিন হবে, ম্যাচ কঠিনতর হবে। তবে আবারও আমরা চেষ্টা করব।
দলের তারকা খেলোয়াড় লাউতারো মার্টিনেজ সম্প্রতি দারুন ছন্দে আছেন। ইতালিয়ান লিগে ইন্টার মিলানের শিরোপা জয়ের নেপথ্যে ভূমিকা ছিলো তার। তার কণ্ঠেও শোনা গেল শিরোপা ধরে রাখার প্রত্যয়। মার্টিনেজ বলেন, আমাদের লক্ষ্য শিরোপা। আমরা সব কিছুর জন্য লড়াই করছি। ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা শেষ হওয়ার পর এবং পরের বছর বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর আমরা বলেছিলাম, আমরা কোপা আমেরিকার জন্য সেরা উপায়ে নিজেদের প্রস্তুত করার চেষ্টা করব। আশা করি, এটা হবে আনন্দের।
উল্লেখ্য, আগামী শুক্রবার (২১ জুন) কানাডার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে কোপা শিরোপা ধরে রাখার অভিযান শুরু করবে আর্জেন্টিনা। ‘এ’ গ্রুপে আলবিসেলেস্তেদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ চিলি (২৬ জুন) ও পেরু (৩০ জুন)।
/এমএইচআর
Leave a reply