বৃষ্টি না থাকায় উন্নতির দিকে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি। কমতে শুরু করেছে নদ-নদী ও হাওরের পানি। এতে শহরের অধিকাংশ সড়ক ও বাসা বাড়ি থেকে পানি নেমে গেছে। তবে এখনও প্লাবিত আছে শহর ও গ্রামের নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট।
গেল সোমবার ঈদের রাতে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তলিয়ে যায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ বাজারের মুজিব পল্লি। সে রাতেই ঘরবাড়ি ফেলে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছিলেন ষাটোর্ধ্ব হাজেরা বেগম। বন্যার পানি কমায় পাঁচ দিন পর ফিরলেন নিজের বাড়িতে।
হাজরা বেগমের মতো আরও অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রের বন্দি জীবন ছেড়ে ফিরতে শুরু করেছেন বসতবাড়িতে।
পলাশ বাজার মুজিব পল্লি তুলনামূলক নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিতেই ডুবে যায় পুরো গ্রাম। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন এই আশ্রয় প্রকল্পের বাসিন্দারা। অভিযোগ করেন, এমন দুর্ভোগেও পাশে নেই প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধিদের কেউ।
বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টিপাত না থাকায় কমতে শুরু করেছে নদ-নদী ও হাওরের পানি। তবে এখনো দুর্ভোগে, পানিবন্দি হাওর বেষ্টিত অঞ্চলের হাজারো মানুষ। খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন তারা। পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি স্থানীয়দের। খাবার সংকটের পাশাপাশি রয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকটও।
শুধু এ মানুষগুলো নয় এমন আরো অসংখ্য মানুষ সেদিন যেতে পারেননি আশ্রয় কেন্দ্রে। ফলে ৫ দিন ধরে বন্দি অবস্থায় জীবন পার করছেন তারা, ভুগছেন নানা সংকটে। বানভাসি এসব মানুষের এই মুহূর্তে সবচেয়ে প্রয়োজন ত্রান সরকারের সহযোগিতা।
/এটিএম
Leave a reply