রূপকথার গল্প লেখা হলো না দক্ষিণ আফ্রিকার

|

যা পারেনি হ্যান্সি ক্রোনিয়ে-জন্টি রোডস-জ্যাক ক্যালিসরা, তাই করে দেখালেন ক্লাসেন-মিলার-মার্করামরা। খবরের প্রথম লাইনটা এভাবে লেখা হতে পারতো। ১৪-১৫ ওভার পর্যন্ত অনেকে ভেবেছিলেন, এমনই বোধহয় হতে চলেছে। কিন্তু না। কী থেকে যেন কী হয়ে গেলো। যে প্রোটিয়া রূপকথার গল্প লেখা হচ্ছিল, তা রূপ নিলো বিষাদগাঁথায়। শেষ পর্যন্ত ইতিহাস রচিত হলো রোহিত বাহিনীর নামেই। ফল, দ্বিতীয় বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতলো ভারত।

‘চোকার্স’ তকমাটা যে দলটির সঙ্গে লেপ্টে আছে, সেই দুর্নাম ঘোচাবে মার্করাম-ক্লাসেন-মিলাররা, তা অনেকেই ধারনা করেছিলেন। যেভাবে শুরু করেছিলেন টুর্নামেন্ট, তাতে আশাবাদী হবার মতোও ছিল অনেক কিছু। কিন্তু ভাগ্যবিধাতা যে লিখে রেখেছিলেন অন্যকিছু। তিনি লিখেছিলেন, শেষ হাসি হাসবেন রোহিত-ভিরাট। আর চোকারদের অশ্রু বারবাডোজ সাগরে যোগ করবে আরও কিছু নোনা পানি।

এদিন শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৭৬ রান করে রোহিতের ভারত। অধিনায়কসহ শুরুর ব্যাটাররা আসা যাওয়ার মধ্যে ছিলেন। কিন্তু মাঝে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে যান ‘গ্রেট’ ভিরাট। তার ৫৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংসে লড়াইয়ের পুঁজি পায় টুর্নামেন্টের হট ফেভারিটরা। ভিরাটকে অবশ্য কিছুটা সঙ্গ দিয়েছেন আক্সার প্যাটেল আর শিভাম দুবে।

দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায়। রেজা হেনরিকসের উইকেট হারায় প্রথম ওভারেই। যেখানে বোলার জাসপ্রিত বুমরাহ, সেখানে হেনরিকসের এরচেয়ে বেশি কী-ই আর করার আছে? কিছুটা থিতু হয়েছিলেন কুইন্টন ডি কক। কিন্তু থামেন ৩৯ রান করে। মার্করামও পারেননি কিছু করতে। এরপর স্টাবস-ক্লাসেন-মিলাররা চেষ্টা করেছেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৭৬ রানের ল্যান্ডমার্ক ছুঁতে পারেননি। তাদের যাত্রা থেমে যায় ১৬৯ রানে।

তাই আবারও একবুক হতাশা নিয়ে দেশে ফিরতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। আর ভারত ফিরবে ট্রফি নিয়ে। সঙ্গে উচ্ছ্বাস আর থাকবে লক্ষ-কোটি ভক্তের ভালোবাসা।

/এমএমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply